1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্ক-জার্মানি সম্পর্কে টানাপড়েন

৮ মার্চ ২০১৭

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েলের সঙ্গে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যখন বৈঠক হচ্ছিল, তখন দুই দেশের সম্পর্ক শীতলই যাচ্ছিল৷ বৈঠকের পর গাব্রিয়েল দুই দেশের সম্পর্ক আবার ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন৷

https://p.dw.com/p/2YqFD
Deutschland Treffen Gabriel und Cavusoglu
ছবি: picture-alliance/AA/C. Ozdel

তুরস্কের রাজনীতিবিদদের জার্মানির মাটিতে সভা-সমাবেশ করা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে৷ মোটের উপর সেদেশে জার্মানির একটি পত্রিকার সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের ঘটনা জার্মান সরকারকে আরো বিরক্ত করেছে৷ এদিকে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান জার্মানির বর্তমান অবস্থাকে তুলনা করেছেন নাৎসি জমানোর সঙ্গে৷ সবমিলিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক যে বড়ই শীতল তা আর বুঝতে কারো বাকি নেই৷

এরইমাঝে বুধবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভল্যুট চাভুশোলুর সঙ্গে এক প্রাতঃরাশ বৈঠকে মিলিত হন সিগমার গাব্রিয়েল৷ বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ভালো সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ, কেননা, বর্তমানে নানা বিষয়ে অস্থিরতা চলছে৷ আমার তুর্কি সহকর্মী এবং আমি - উভয়েই দুই দেশের সম্পর্ককে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চাই৷''

তবে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটাও উল্লেখ করেছেন যে, কিছু ব্যাপারে মন্তব্যের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সীমা আছে, যার লঙ্ঘন কাম্য নয়৷ উদাহরণ হিসেবে বর্তমান জার্মানিকে নাৎসি জমানার সঙ্গে তুলনার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি৷

"Germany and Turkey should calm down"

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সাংবাদিকদের কাছে একথা স্বীকার করেন যে, জার্মানির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করে আসলে কোনো লাভ নেই৷ তবে তিনি বলেন, ‘‘তুরস্ক বন্ধু, না অন্য কিছু তা জার্মানিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷''

তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল যে জার্মান গণমাধ্যমের উপর ক্ষিপ্ত তা-ও বোঝা গেল সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে৷ তিনি মনে করেন, জার্মান গণমাধ্যম তুরস্কের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাক প্রোপাগান্ডা' করছে, যা বন্ধ করতে হবে৷ পাশাপাশি জার্মানিতে এক ধরনের ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব রয়েছে বলেও মনে করেন চাভুশোলু৷

উল্লেখ্য, তুরস্কে এক বিতর্কিত গণভোটের আগে জার্মানিতে অবস্থানরত সে দেশের প্রায় পনের লাখ ভোটারকে দলে টানতে জার্মানির বিভিন্ন শহরে সভা-সমাবেশের চেষ্টা করছেন তুর্কি রাজনীতিবিদরা৷ তবে ইতোমধ্যে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে চারটি সভা বাতিল করেছে জার্মানির বিভিন্ন শহরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, গণভোটের মাধ্যমে কার্যত সে দেশের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরো বাড়াতে চাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল যা দেশটিকে একনায়কতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাবে৷

এআই/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য