1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কের উপর চাপ আরো বাড়ছে

২০ জুলাই ২০১৭

তুরস্ক মানবাধিকার কর্মীদের আটক করার পর জার্মান সরকার তার ফলশ্রুতি সম্পর্কে তুরস্ককে সাবধান করে দিয়েছে৷ ওদিকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল তুরস্কে পর্যটনের ব্যাপারে সতর্কতার নির্দেশ আরো জোরদার করেছেন৷

https://p.dw.com/p/2gqsq
সিগমার গাব্রিয়েল
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েলছবি: picture-alliance/dpa/P. Zinken

তুরস্ক এক জার্মান নাগরিক সহ ছ'জন মানবাধিকার কর্মীকে আটকের আদেশ দেওয়ার পর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল তুরস্কে তাঁর ছুটি কাটানো ভঙ্গ করে বার্লিনে প্রত্যাবর্তন করেন ও তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় ও ধৃত ছ'জনের মুক্তি দাবি করা হয়৷ শুধু তাই নয়, তুরস্ককে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধেও পদক্ষেপ নিচ্ছে জার্মানি৷

বুধবারই তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে ‘‘স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন'' ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয় যে, জার্মান নাগরিক পেটার স্টয়েটনার ও আরো পাঁচজন মানবাধিকার কর্মীকে ইস্তানবুলে গ্রেপ্তারের ঘটনা ‘‘বোধগম্য বা গ্রহণযোগ্য'' নয়৷

এসপিডি দলের সভাপতি মার্টিন শুলৎস-এর বিবৃতি অনুযায়ী জার্মান সরকার জার্মান নাগরিকদের তুরস্ক যাত্রা সম্পর্কে আরো জোরদার সতর্কতার নির্দেশ জারি করেছে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েলের কথায়, জার্মান নাগরিকদের জন্য তুরস্ক ভ্রমণ করা এ মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ৷

এ ধরনের পদক্ষেপ তুরস্কের পর্যটন শিল্পের ক্ষতি করবে, কেননা বিপুল সংখ্যক জার্মান নাগরিক তুরস্কে ছুটি কাটিয়ে থাকেন৷

ধৃত মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে তুরস্কের সরকারি কৌঁসুলির অভিযোগ যে, তারা একটি ‘‘সশস্ত্র সন্ত্রাস সংগঠন''-কে সাহায্য করেছেন৷ ইতিপূর্বে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান এক বছর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের ব্যর্থ প্রচেষ্টার সঙ্গে ধৃত মানবাধিকার কর্মীদের যোগাযোগ থাকার আভাস দেন – জার্মান সরকারের মুখপাত্র স্টেফেন সাইবার্ট যাকে ভিন্নমতাবম্বীদের অপবাদ দেবার ও অপরাধী হিসেবে প্রমাণ করার ‘‘স্বচ্ছ প্রচেষ্টা'' বলে অভিহিত করেছেন৷গতবছরের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংযোগের দায়ে তুরস্কে এ পর্যন্ত ২২ জন জার্মান নাগরিককে আটক করা হয়েছে, বলে জার্মান সরকারের বিবৃতিতে প্রকাশ৷ তাঁদের মধ্যে ন'জন এখনও ছাড়া পাননি, জার্মান ‘ডি ভেল্ট' পত্রিকার জার্মান-তুর্কি সাংবাদিক ডেনিজ ইউচেল ও জার্মান সাংবাদিকা ও অনুবাদিকা মেজালে টোলু যাঁদের অন্যতম৷

ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর যে সব তুর্কি নাগরিক জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন, আংকারা সরকার তাঁদের হস্তান্তর দাবি করছেন – এক্ষেত্রে ধৃত জার্মান নাগরিকদের মুক্তিপণ হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে, বলে জার্মান কূটনীতিক মহলের বিশ্বাস৷

জার্মান আইনমন্ত্রী ও এসপিডি দলের রাজনীতিক হাইকো মাস ‘‘তুরস্কের বিরুদ্ধে সুর কড়া'' করার পক্ষে হলেও, ধৃত জার্মান নাগরিকদের সঙ্গে জার্মান কূটনীতিকদের দেখা করার সুযোগ বিপন্ন করতে চান না৷ অপরদিকে সবুজ দলের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র ওমিদ নুরিপুর তুরস্কের সঙ্গে উদ্বাস্তু সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করার দাবি তুলেছেন৷

 

এসি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য