1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কে তুর্কি-জার্মান সাংবাদিকের কারাদণ্ড

১৭ জুলাই ২০২০

সাংবাদিক ডেনিস ইউসেলকে মিথ্যাচারের অভিযোগে দু'বছর নয় মাসের কারাবাসের সাজা দিয়েছে তুরস্কের একটি আদালত৷

https://p.dw.com/p/3fTOE
Berlin: Journalist Yücel zur Vernehmung vor Amtsgericht
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

জার্মানির অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘ডি ভেল্ট'-এর তুর্কি-জার্মান সাংবাদিক ডেনিস ইউসেলকে বৃহস্পতিবার কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ বর্তমানে জার্মানির বাসিন্দা ইউসেলের জার্মান ও তুরস্কের নাগরিকত্ব রয়েছে৷

তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান পিপলস পার্টি (পিকেকে)-র হয়ে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছিলেন৷ দু'বছর ধরে চলা এই মামলায় একদিনও হাজিরা দেননি ইউসেল৷ ডি ভেল্ট পত্রিকায় তাঁর লেখা একাধিক প্রতিবেদনে ঘৃণা ও ত্রাস ছড়ানোর রসদ রয়েছে বলে মামলার শুনানিতে দাবি করা হয়েছে৷ এর আগেও তুরস্ক কর্তৃপক্ষ ইউসেলের বিরুদ্ধে ফেতুল্লাহ গুলেনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলে৷ গুলেন তুরস্কেরসাম্প্রতিক কালের অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত বলে মনে করে আঙ্কারা৷ পাশাপাশি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ানের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগও তোলা হয়েছে ইউসেলের বিরুদ্ধে৷

ইউসেলের আইনজীবী জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে৷

জার্মানি দাঁড়ালো ইউসেলের পাশে

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস এই রায়ের কড়া সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার টুইট করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এই রায় দেখাচ্ছে যে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে আমাদের (জার্মানি ও তুরস্ক) মতের চরম অমিল রয়েছে৷ আমরা ভুলবো না যে, এখনো বহু জার্মান তুরস্কের হাতে বন্দি আছেন৷ এই মামলার পাশাপাশি অন্যান্য বন্দিদের মামলা জার্মান-তুরস্ক সম্পর্ক ও ইইউ'র সাথে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে৷''

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডেনিস ইউসেল ডয়চে ভেলেকে জানান, তিনি মোটেও তাঁর কার্যকলাপ নিয়ে কোনো ধরনের অনুশোচনায় ভুগছেন না৷ আইনি সুরাহা মিলবে, সে বিষয়েও তিনি আশাবাদী৷

ডয়চে ভেলেকে তিনি জানান, ‘‘গত বছরই তুরস্কের সাংবিধানিক আদালত আমার প্রতিটি প্রতিবেদন খুঁটিয়ে পড়ে৷ তুরস্কের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার যে আইনটি রয়েছে, তার খেলাপ করেনি আমার লেখা৷''

ডয়চে ভেলের ইস্তাম্বুল প্রতিনিধি ইউলিয়া হান এক টুইটে বলেন, ‘‘এটাই অবাক করে যে, সাংবিধানিক আদালত ২০১৭ সালে নয় মাস ধরে ইউসেলেকে কারাবন্দি রাখাকে বেআইনি ঘোষণা করেছিল৷ তারা বলেছিল যে, ইউসেলের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে৷ তা-ও এই মামলাকে থামানো যায়নি৷ স্পষ্টতই এটা তুরস্কে সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর বড় আঘাত৷''

টিমথি জোনস/এসএস