1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজতুরস্ক

তুরস্কে গিয়ে এর্দোয়ানের সঙ্গে বৈঠক শলৎসের

১৫ মার্চ ২০২২

সোমবার তুরস্কে গিয়ে প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের সঙ্গে কথা বললেন জার্মানির চ্যন্সেলার শলৎস।

https://p.dw.com/p/48Tvb
বৈঠকের পর শলৎশ ও এর্দোয়ানের সাংবাদিক সম্মেলন। ছবি: Michael Kappeler/dpa/picture alliance

কয়েকদিন আগেই তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনায় বসেছিলেন। তুরস্কের ভূমিকা ছিল মধ্যস্থতাকারীর। সংঘাতের আবহে রাশিয়া ও ইউক্রেন যে তৃতীয় দেশে আলোচনা করেছে, এটাই ছিল সেই মধ্যস্থতার সাফল্য।

তারপর সোমবার শলৎস রাশিয়া-ইউক্রেন এবং দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে এর্দোয়ানের সঙ্গে আলোচনা করেন। আলোচনার পর শলৎস বলেছেন, ''ইউক্রেনে হামলা করে রাশিয়া নিজেদের একঘরে করে ফেলেছে। প্রতিদিন, ইউক্রেনে ফেলা রাশিয়ার প্রতিটি বোমা পুটিনকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরো দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।'' তার মতে, ''রাশিয়ার উচিত অবিলম্বে লড়াই থামিয়ে কূটনৈতিক আলোচনায় বসা।''

শলৎসের বক্তব্য

আলোচনার পর শলৎস বলেছেন, ''প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান এবং আমি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ একমত যে, ইউক্রেনে সামরিক হামলা নিন্দনীয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধবিরতি হওয়া দরকার।''

রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনে হুমকিতে তুরস্কের পর্যটন খাত

শলৎস বলেছেন, ''তুরস্ক ও জার্মানি এই ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে।'' তিনি ভূমধ্যসাগর ও কৃষ্ণসাগরের সংযোগকারী একটি প্রণালী বন্ধ করে দেয়ার জন্য শলৎসকে ধন্যবাদ জানান। তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে থাকা এই প্রণালী বন্ধ করে দেয়ায় সেখান দিয়ে যুদ্ধজাহাজ যাতায়াত করতে পারেনি।

শলৎস বলেছেন, কিছু বিষয়ে জার্মানি ও তুরস্কের মধ্যে মতবিরোধ আছে। এর ফলে মাঝেমধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক একটু খারাপ হয়। এই বিষয়গুলির মধ্যে আছে, আইনের শাসন, মানবাধিকার, জার্মানির নাগরিকদের জেলবন্দি করা বা দেশে ফিরতে না দেয়ার ঘটনা।

শলৎসের দাবি, এই বিষয়গুলি নিয়ে এর্দোয়ানের সঙ্গে আলোচনা কিছুটা এগিয়েছে। এই বিরোধের সমাধান পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করছেন।

এর্দোয়ান যা বলেছেন

এর্দোয়ান বলেছেন, ''রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা আরো বাড়ানো দরকার। দুই দেশকে আলোচনায় বসানোর জন্য তুরস্ক যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। ইতিমধ্যেই তুরস্কে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনা করেছেন।'' 

এর্দোয়ান জার্মানির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো বাড়ানোর কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ''তুরস্কের আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে জার্মানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ২০২০ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হয়েছে তিন হাজার ৮০০ কোটি ডলারের। এটাকে পাঁচ হাজার কোটিতে নিয়ে যেতে আমরা বদ্ধপরিকর।'' 

তিনি তুরস্কের পর্যটন ক্ষেত্রে জার্মানির গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেন।

তবে অ্যামেরিকা ২০২০ সালে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কারণ, তারা রাশিয়া থেকে এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনেছিল।

জিএইচ/এসজি (এএফপি, ডিপিএ)