তাসকিনের ‘শাস্তি’ আর তাঁদের বেলায় ‘শান্তি’?
বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেই সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানিকে৷ কিন্তু অনেকের বেলায় এমনটি করেনি আইসিসি৷ দেখুন অভিযোগ ওঠার পরও কারা দিব্যি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন৷
কুমার ধর্মসেনা
এখন তিনি আম্পায়ার৷ সুতরাং সুযোগ পেলে হয়ত তিনিই কারো বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ করবেন৷ অথচ শ্রীলঙ্কার এই সাবেক ডান হাতি অফব্রেক বোলারের অ্যাকশন নিয়েই প্রশ্ন ছিল৷ ২০০০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে বল ‘চাক’ করা বা ছোঁড়ার অভিযোগ তদন্তও করেছিল আইসিসি৷ কিন্তু খেলার সময় কোনো আম্পায়ার অভিযোগ না করায় ২০০৬ সাল পর্যন্ত নির্বিঘ্নে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে অবসর নেন ধর্মসেনা৷
ব্রেট লি ও জার্মেইন লসন
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ফাস্ট বোলার ব্রেট লি (ওপরের ছবিতে, ডানে) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট মিডিয়াম পেসার জার্মেইন লসনের বোলিং অ্যাকশন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল৷ আইসিসি তদন্তও করেছে৷ লসনকে সংশোধনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে দু’বার৷ কিন্তু আম্পায়ার অভিযোগ না করায় এই দু’জনেরও ‘নিষিদ্ধ’ হতে হয়নি৷
হরভজন সিং
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই ভারতের স্পিনার হরভজন সিংয়ের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ সরাসরি ‘নিষিদ্ধ’ না করে তাঁর বোলিং অ্যাকশনের বৈধতাও খতিয়ে দেখেছিল আইসিসি৷ ‘সবুজ সংকেত’ পেয়ে খেলা চালিয়ে যেতে হরভজনেরও কোনো অসুবিধা হয়নি৷
শোয়েব মালিক
পাকিস্তানের শোয়েব মালিকও হাতে গোনা কয়েকজন সৌভাগ্যবানের একজন বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও যাঁকে ‘নিষিদ্ধ’ হতে হয়নি৷ এখনো তিনি পাকিস্তান দলের একজন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়৷
তাসকিনকে সরাসরি ‘নিষিদ্ধ’?
বাংলাদেশের তাসকিন এবং আরাফাত সানিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাময়িকভাবে ‘নিষিদ্ধ’ করা হয়েছে৷ তাসকিনের নিষেধাজ্ঞা তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে৷ তাঁর শুধু ‘বাউন্সার’ নিয়ে সন্দেহ৷ নিয়ম অনুযায়ী বাউন্সার নিয়ে সন্দেহ থাকলে প্রথমে সতর্ক করার কথা, কিন্তু তা না করে সরাসরি নিষিদ্ধ করা হয় তাঁকে৷ আইসিসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড৷ কিন্তু রিভিউয়েও বহাল রয়েছে নিষেধাজ্ঞা৷