1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তালেবানের সঙ্গে ফ্রান্সের কথা

৩০ আগস্ট ২০২১

মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান কাবুলে গিয়ে কথা বলেছিলেন, এবার ফরাসি প্রতিনিধি কথা বললেন তালেবানের সঙ্গে।

https://p.dw.com/p/3zeqH
এমানুয়েল মাক্রোঁ
ছবি: Ahmad Al-Rubaye/AFP

তালেবানের সঙ্গে কথা বলেছে ফরাসি প্রশাসন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ নিজেই এ কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। রোববার তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে ফরাসি নাগরিকদের উদ্ধার করা নিয়ে তালেবানের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে। তবে প্রশাসক হিসেবে তালেবানকে মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে এখনো ফ্রান্স কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও স্পষ্ট করেছেন মাঁক্রো। এদিকে, সোমবারই একাধিক পশ্চিমা দেশের ভার্চুয়াল বৈঠকে বসার কথা। সেখানে তালেবান নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। রোববার রাতে অ্যামেরিকা সহ একাধিক দেশ জানিয়েছে, তালেবান পালাতে চাওয়া আফগান নাগরিকদের দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

মাক্রোঁর বক্তব্য

রোববার সাংবাদিকদের মাক্রোঁ জানান, ফরাসি নাগরিকদের উদ্ধারের বিষয়ে তালেবানের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছে ফরাসি প্রশাসন। তালেবানরা উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে। এখনো পর্যন্ত কয়েক হাজার ফরাসিকে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। মাক্রোঁর বক্তব্য, এর ফলে তালেবানের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক তৈরি হলো, এমন মনে করার কারণ নেই। ফ্রান্স তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তিনটি বিষয় ফ্রান্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এক, মানবাধিকার। বিশেষ করে নারীদের অধিকার। দুই, যে আফগান নাগরিকরা বিদেশে চলে যেতে চাইছেন, তাদের যেতে দিতে হবে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। এবং তিন, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি তৈরি করার সুযোগ দেওয়া যাবে না। এই শর্তগুলি পূরণ করলে স্বীকৃতির বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করবে ফ্রান্স।

নাগরিকদের ছাড়া হবে

রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে অ্যামেরিকা সহ একাধিক পশ্চিমা দেশ জানিয়েছে, তালেবানের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। তালেবান দেশে থাকতে না চাওয়া আফগান নাগরিকদের বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। অর্থাৎ, কেউ কাবুল বিমানবন্দর হয়ে বিদেশে যেতে চাইলে তাকে আটকানো হবে না। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে না। দেশের নাগরিকদের দেশেই থাকার নির্দেশ দিয়েছিল তালেবান। বলা হয়েছিল, যারা বিদেশি শক্তির সঙ্গে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছিল। বহু নাগরিক ভয়ে বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন না। শেষপর্যন্ত তাদের বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিল তালেবান। তারা জানিয়েছে, বিদেশে যাওয়ার বৈধ কাগজ থাকলে বিমানবন্দরের রাস্তায় তাদের আটকানো হবে না। তবে আপাতত ওই নাগরিকদের হাতে আর মাত্র একদিন সময় আছে। ৩১ অগাস্ট মার্কিন সেনার আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা। তারপরেও উদ্ধারকাজ চলবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

ভার্চুয়াল বৈঠক

এই পরিস্থিতিতে অ্যামেরিকা, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জাপান সহ একাধিক দেশ সোমবার আফগানিস্তান নিয়ে বৈঠকে বসছে। জরুরি বৈঠকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। আফগানিস্তান নিয়ে সমস্ত দেশের অবস্থান যাতে একইরকম হয়, তা নিয়ে আলোচনা হবে এদিনের বৈঠকে। বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন সংবাদমাধ্যমকে বৈঠক নিয়ে জানাতে পারেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।

অ্যামেরিকা জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত দেশের এক লাখ ১৪ হাজার মানুষকে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো ৩০০ জন আফগানিস্তানে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবারের মধ্যে তাদেরও উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে।

এসজি/জিএইচ (এপি, রয়টার্স, এএফপি)