তারুণ্যের একাল
এ সময়ে এসে তরুণরা কী ভাবছেন? তাঁদের সমস্যা ও সম্ভাবনার জায়গাগুলো কী কী? ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এসব নিয়ে বিভিন্ন গবেষণামূলক তথ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ সেই প্রতিবেদনটি নিয়ে এই ছবিঘর৷
দশ জনে চার জন
বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৪২ ভাগের বয়স ২৫-এর নীচে৷ অর্থাৎ প্রতি দশ জনে ৪ জন৷ এদের প্রায় অর্ধেকই থাকেন সাব-সাহারান আফ্রিকায়৷ যেখানে বিশ্বের অন্য জায়গাগুলোতে এদের সংখ্যা কমেছে, সেখানে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকায় এই সংখ্যা আসলে বাড়ছে৷
যুদ্ধ পরস্থিতিতে
১৯৯০ সালের তুলনায় এখন ৭৫ ভাগ বেশি শিশু সংঘাতপূর্ণ এলাকায় থাকছে৷ অথচ ১৯৯০ সালের তুলনায় সংঘাত কিন্তু কমেছে৷ তখন ৬৬টি দেশে ২০ কোটি শিশু সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাস করত৷ এখন ৫২টি দেশে ৩৫ কোটি ৭০ লাখ শিশু সংঘাত পরিস্থিতিতে আছে৷
স্কুলে যায় না ওরা
ইউনেস্কো পরিসংখ্যান ইন্সটিটিউটের হিসেব মতে, ২০১৬ সালে ২৬ কোটি ৩০ লাখ শিশু স্কুলে যায়নি৷ অবশ্য বেশিরভাগ শিশুই সংঘাতের কারণেই স্কুলবিমুখ৷ ইউএনএইচসিআরের মতে, বিশ্বে শরণার্থীদের অর্ধেকেরই বেশি শিশু৷
কর্মসংস্থানের অভাব
১৯৯৭ থেকে ২০১৭ নাগাদ তরুণদের সংখ্যা বেড়েছে ১৩ কোটি ৯০ লাখ৷ অথচ সংকুচিত হয়েছে শ্রমবাজার৷ বিশ্বে ২০১৭ সালে ৭ কোটিরও বেশি তরুণ বেকার ছিলেন৷ এ সংখ্যা আরো বাড়ছে৷
৫০ ভাগেরও বেশি ইন্টারনেটে
এখনকার যুগে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি অর্জনের একটি মাপকাঠি হলো একটি অর্থনীতিতে কত শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন৷ সারাবিশ্বেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হলো ১৮ থেকে ৩৬ বছর বয়সিদের মাঝে৷ এর মধ্যে ফিলিপাইন্স, টিউনিশিয়া ও ভিয়েতনামে সেটি ৫০ শতাংশেরও বেশি৷
ভবিষ্যতে নির্ভরতা ওদের
প্রাথমিক পর্যায়ের পড়াশোনা শেষ করেছে এমন ৬৫ ভাগ শিশু ভবিষ্যতে এমন সব কাজ করবে, যেসব কাজের সুযোগ এখনো সমাজে তৈরিই হয়নি৷ এর আসল কারণ অবশ্য প্রযুক্তির বিস্তার৷
তাঁরা পৃথিবী নিয়ে ভাবেন
নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত যাঁদের জন্ম, দেখা গেছে তাঁদের অনেকেই জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘাত নিয়ে বেশ ভাবেন৷ তবে একটি গবেষণা বলছে, তরুণরা অবশ্য তাঁদের কণ্ঠ কতটা নীতিনির্ধারকদের কানে পৌঁছায় তা নিয়ে সন্দিহান৷