তারকাদের গোপন ভিডিও ফাঁসের ১৬ ঘটনা
তারকাদের ছবি বা ভিডিও ফাঁসের ঘটনা মাঝেমাঝেই আলোড়ন সৃষ্টি করে৷ সাধারণত কোন হ্যাকার বা প্রতিহিংসার বশে কেউ সেগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়৷ ছবিঘরে থাকছে অস্ট্রেলিয়ার ‘হু’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এরকম ঘটনার শিকার ১৬ তারকার কথা৷
কিম কার্দেশিয়ান
সোশ্যাল মিডিয়া তারকা কিম কার্দেশিয়ানের সেক্স টেপ প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে৷ ভিডিওটিতে তাঁর সঙ্গী ছিলেন তাঁর সাবেক ছেলেবন্ধু রেই জে৷ ভিভিড এন্টারটেইনমেন্ট সেই ভিডিও প্রকাশ করলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করেন কিম৷ ফলে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ পান তিনি৷
প্যারিস হিল্টন
প্যারিস হিল্টনের সঙ্গে তাঁর ছেলেবন্ধু রিক সালেমানের যৌন মিলনের কিছু দৃশ্য নিয়ে ‘ওয়ান নাইট ইন প্যারিস’ নামে একটি পর্ন ফিল্ম মুক্তি পায় ২০০৪ সালে৷ হিল্টন দাবি করেছেন, তাঁর অনুমতি ছাড়াই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছিল৷ এমনকি ভিডিও ধারণের সময়ও তিনি সেই বিষয়ে সচেতন ছিলেন না বলে জানিয়েছেন এই তারকা৷ বিষয়টি নিয়ে আদালতে গেলে চার লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ পান তিনি৷
পামেলা এন্ডারসন
হানিমুনে গিয়ে স্বামী টমি লিয়ের সঙ্গে শখের বশে একটি সেক্স টেপ তৈরি করেছিলেন বেওয়াচ তারকা পামেলা এন্ডারসন৷ কিন্তু পরবর্তীতে কেউ একজন তাঁর বাড়ি থেকে সেই ভিডিও চুরি করেন এবং ‘ইন্টারনেট এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপের’ কাছে বিক্রি করে দেন৷ এই তারকার আরো একটি একই ধরনের ভিডিও ইন্টারনেটে ফাঁস হয়েছে৷
ফারাহ আব্রাহাম
যখন জানাজানি হয় যে ফারাহ আব্রাহাম এবং জেমস ডিনের একটি সেক্স টেপ আছে তখন বাধ্য হয়েই সেটি প্রকাশে সম্মতি দেন তিনি৷ আব্রাহাম জানিয়েছেন ভিডিও প্রকাশের ফলে তাঁর ক্যারিয়ারে তেমন কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি৷ তবে ডিন সেটির কথা মানুষকে জানিয়ে বিশ্বাসভঙ্গ করেছিলেন বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি৷
কেট রিচি
২০০০ সালে গুজব ছড়িয়েছিল যে কেট রিচির সঙ্গে তাঁর এক সাবেক ছেলেবন্ধুর একটি সেক্স ভিডিও রয়েছে৷ তবে, সেই খবর কখনো নিশ্চিত করেননি কিংবা প্রকাশ্যে সেই বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি এই সোপ অপেরা তারকা৷ ইন্টারনেটে তাঁর নাম সার্চ করলে অবশ্য ভিডিওটির স্ক্রিনশট এখনো দেখা যায়৷
ব্লাক সায়না
প্রাক্তন এক ছেলেবন্ধু তাঁকে না জানিয়েই তাদের এক অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ভিডিও করেছিলেন৷ পরবর্তীতে সেই ঘটনাকে ‘অপমানকর’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ব্লাক সায়না৷
জেনিফার লরেন্স
২০১৪ সালে একশোর বেশি তারকার আইক্লাউড একাউন্ট হ্যাকড হয়েছিল৷ তাদের একজন জেনিফার লরেন্স৷ তাঁর নগ্ন ছবি ফাঁস হয় তখন৷
ম্যাল বি
প্রাক্তন স্বামী স্টেফেন বেলাফন্টের এক কুকীর্তির কথা জেনে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন মেল বি৷ তিনি নাকি তাঁকে না জানিয়েই তাদের যৌন জীবনের ৬০টি ভিডিও তৈরি করেছিলেন৷ সেসব ভিডিও যাতে ফাঁস না হয় সেজন্য স্বামীর বিরুদ্ধে আনা গৃহ নির্যাতনের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন সাবেক এই স্পাইস গার্ল৷
বেলা থর্নে
এক হ্যাকার বেলা থর্নের নগ্ন ছবি ফাঁসের হুমকি দিয়েছিলেন৷ সেই হুমকিতে ভয় না পেয়ে নিজেই সেসব ছবি প্রকাশ করেন বেলা৷ অনেকে তাঁর এই উদ্যোগকে এ ধরনের পরিস্থিতিতে সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন৷ তবে, হুপি গোল্ডবার্গ এমন ছবি তোলাই উচিত নয় বলে বেলা থর্নের সমালোচনা করেছেন৷
রব লো
১৬ বছর বয়সি এক মেয়ের সঙ্গে যৌন মিলনের ভিডিও টেপ প্রকাশের পর ভালোই বিপাকে পড়েছিলেন রব লো৷ ১৯৮৮ সালের ঘটনা সেটা৷ তখন তাঁর বয়স ছিল ২৪ বছর৷ জর্জিয়ায় সেই ভিডিওটি করা হয়েছিল৷ সেখানকার আইনে একটি মেয়ে ১৪ বছর বয়সেই যৌন সঙ্গমে সম্মতি দিতে পারতো৷ কিন্তু, কোন ভিডিওতে নিজের উপস্থিতির সম্মতি দেয়ার বয়স ছিল ১৮৷ সেই ঘটনা রবের ক্যারিয়ারের মারাত্মক ক্ষতি করেছিল৷
আম্বার রোস
আম্বার রোসের আসলেই কোন সেক্স টেপ আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ তবে, অসংখ্য ভিডিও ইন্টারনেটে রয়েছে যেগুলোতে তাঁকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় অন্য কারো সঙ্গে দেখা গেছে৷ নগ্ন ছবি প্রকাশেরক্ষেত্রে তিনি অবশ্য বেশ উদার হিসেবেই পরিচিত৷
জেনিফার লোপেজ
জেনিফার লোপেজের প্রাক্তন স্বামী ওজানি নোয়া ২০০০ সালের দিকে তাদের একটি সেক্স ভিডিও ফাঁস করে স্ত্রীর উপর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু লোপেজ তাঁর প্রাক্তন স্বামীকে এই কাজ করা থেকে রুখতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ তাসত্ত্বেও কয়েকটি ওয়েবসাইট দাবি করেছে তাদের কাছে সেই ভিডিওর কপি রয়েছে৷
নিকোল শেরজিঞ্জার
নিকোল শেরজিঞ্জার এবং তাঁর প্রাক্তন ছেলেবন্ধু লুইস হ্যামিল্টনের ফাঁস হওয়া ভিডিওটিতে দু’জনের আলিঙ্গন ও চুম্বন দৃশ্য ছাড়া আর কিছু ছিল না৷ তাসত্ত্বেও সেই ভিডিও প্রকাশের পর বেজায় ক্ষেপেছিলেন নিকোল৷ তিনি সেই ঘটনাকে ‘যৌন সহিংসতা’ আখ্যা দিয়ে তাঁর ব্যক্তি গোপনীয়তা এবং সম্মতির অধিকারের চরম লঙ্ঘন আখ্যা দিয়েছিলেন৷ নিকোলের ভয় ছিল ভবিষ্যতে তাদের অন্য কোন ভিডিও ফাঁস হতে পারে যা আরো বেশি অন্তরঙ্গ৷
কেন্ড্র উইলকিনসন
মাত্র ১৮ বছর বয়সে এক এডাল্ট ভিডিও বানিয়েছিলেন কেন্ড্র উইলকিনসন৷ তবে সেটি ২০১০ সালের আগ অবধি প্রচার করেনি ভিভিড এন্টারটেইমেন্ট৷ আর যখন সেটি প্রকাশ হয় তখন কেন্ড্র বিবাহিত এবং এক সন্তানের মা৷ এই ঘটনাকে অত্যন্ত বিব্রতকর আখ্যা দিয়েছন কেন্ড্র৷ এমনকি ভিডিওটির প্রকাশ রুখতে আদালতেও গিয়েছিলেন তিনি৷ তবে সফল হননি৷
স্কারলেট ইয়োহানসন
যদি কোন ওয়েবসাইট দাবি করে যে সেটির কাছে স্কারলেট ইয়োহানসনের সেক্স ভিডিও রয়েছে, তবে তা বিশ্বাস না করাই ভালো৷ কেননা, স্কারলেট নিজে জানিয়েছেন সেগুলো ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি ভুয়া ভিডিও৷ ২০১১ সালে এক হ্যাকার অবশ্য তাঁর ফান থেকে একটি নগ্ন ছবি চুরি করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছিল৷ স্কারলেট সফলভাবে সেই হ্যাকারকে বিচারের মুখোমুখি করতে পরেছেন৷ এবং হ্যাকারের এক দশক কারাবাসের শাস্তি হয়েছে৷
মাইলি সাইরাস
স্টেজে এবং ক্যামেরার সামনে প্রায়ই নানা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি করেন মাইলি সাইরাস৷ ২০১৭ সালে তাঁর কিছু অন্তরঙ্গ ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস করে একটি পর্ন ওয়েবসাইট৷
রিহানা
অজ্ঞাতপরিচয়ের এক হ্যাকার ২০০৯ সালে রিহানার নগ্ন ছবি ফাঁস করে৷ এটাকে তাঁর সঙ্গে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে আখ্যা দিলেও ক্যারিয়ারের উপর তার যেন কোন প্রভাব না পড়ে সচেষ্ট ছিলেন এই সঙ্গীতশিল্পী৷ তবে নিজের নগ্ন ছবি তোলাকে কোন অপরাধ হিসেবে মানতে রাজি নন রিহানা৷ বরং যেসব ছেলেবন্ধুদের তাদের বান্ধবীরা নগ্ন ছবি পাঠায় না তাদের জন্য তাঁর খারাপ লাগে বলে জানিয়েছেন রিহানা৷