1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাণ্ডব সৃষ্টিকারী হাতি ক্যাম্বোডিয়ার চিড়িখানায় স্থানান্তরিত

২৭ ডিসেম্বর ২০১০

মারমুখোএক হাতি ক্যাম্বোডিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের একটি গ্রামের বাসিন্দাদের মাঝে ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছিল৷ এর হাত থেকে বাসিন্দাদের বাঁচানোর জন্য হাতিটিকে চিড়িয়াখানায় তার নতুন আবাসস্থলে স্থানান্তর করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/zqHT
elephant
ছবি: AP

সাম্বো নামের হাতিটি এ মাসে তার মালিককে হত্যা করে এবং পরে পালিয়ে যায়৷ এবং তাণ্ডব চালাতে থাকে৷ খেতের ফসলাদি নষ্ট করে এই হাতি এবং গ্রামের বাসিন্দাদের হয়রানি করতে থাকে৷ বাসিন্দারা লাঠিসোঁটা, ছুরি ও পটকা নিয়ে তাকে বাধা দেয়৷ ক্যাম্বোডিয়ার বন প্রশাসনের কর্মকর্তারা শেষ পর্যন্ত সাম্বোকে ওষুধ দিয়ে নিস্তেজ করেন৷ তারপর তাকে ধরে রাজধানী নমপেনের কাছাকাছি নম তামাও চিড়িখানায় স্থানান্তর করেন৷ নম পেন পোস্ট সংবাদপত্রে এই খবরটি পরিবেশিত হয়েছে৷

কর্মকর্তা জ্যাক হাইউড, যিনি হাতিটিকে ধরতে সাহায্য করেন, বলেন, সাম্বোকে চিড়িখানায় বয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা সহজ ছিল না৷ কেননা এটা এক বড় আকারের স্থানীয় ঘটনার রূপ নেয়৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের কৌতূহল দমন করতে বেগ পেতে হয়৷ হাইউড বলেন, অনেকেই হাতিটিকে ছুঁতে চায়, পিঠে উঠতে চায়৷ তার ওপর ছিল মাতাল কিছু মানুষের চাপ৷ তারা সাম্বোকে বাড়িতে নিয়ে যাবেই৷ এদের মোকাবেলা করা সত্যিই কঠিন ছিল৷

Elefant Shaina Pali
পাকড়াও করার সময় হাতিটির ওজন ছিল আনুমানিক পাঁচ টনছবি: AP

পাকড়াও করার সময় হাতিটির ওজন ছিল আনুমানিক পাঁচ টন৷ তার মারমুখো ভাব কমাতে খেতে দেয়া হয় নি সাম্বোকে৷ ফলে তার ওজন কমে যায় পাঁচশ কিলোগ্রামেরও বেশি৷

সাম্বো ধ্বংসকাণ্ড চালানো সত্ত্বেও কিছু মানুষ হাতিটিকে চিড়িখানায় পোরার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে৷ তাদের খেদোক্তি: এই হাতি চলে যাওয়ার পর এখন আমরা দেখবোটা কী? শুধু ধান আর গরু?

প্রতিবেদন: আবদুস সাত্তার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক