1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তাজমহলের বিতর্কিত ঘরের ছবি প্রকাশ

১৭ মে ২০২২

গত সপ্তাহে তাজমহলের নীচে ২২টি ঘর খুলে দেখানোর আবেদন জানিয়েছিলেন এক বিজেপি নেতা। সোমবার কয়েকটি ঘরের ছবি প্রকাশ করল এএসআই।

https://p.dw.com/p/4BO8g
তাজমহল
ছবি: Sajjad Hussain/AFP/Getty Images

সোমবার ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ (এএসআই) তাজমহলের নীচের ২২টি ঘরের কয়েকটির ছবি প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, ঘরগুলির সংস্কারকাজ চলছে। চারটি ছবিতে তারা সংস্কারের আগের এবং পরে ঘরগুলির অবস্থা দেখিয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, ওই ঘরগুলির কোনো বিশেষত্ব নেই। একাধিক মুঘল স্থাপত্যে ওই ধরনের ঘর আছে। সংস্কারের কাজ হচ্ছে বলেই ঘরগুলি বন্ধ করে রাখা আছে বলে তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

তাজমহল - এখনও এক বিস্ময়

তাজমহল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে হিন্দুত্ববাদীদের একটি মহল। গত সপ্তাহে বিজেপির অযোধ্যা ইউনিটের মিডিয়া ইনচার্জ রজনীশ সিংহ এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। তার দাবি ছিল, তাজমহলের নীচের ২২টি ঘর খুলে দিতে হবে। জানতে হবে সেখানে কী আছে। একইসঙ্গে তাজমহলের ইতিহাস বিষয়ে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল তৈরি করতে হবে। তার দাবি, তাজমহলের জায়গায় আগে একটি শিব মন্দির ছিল। যা তেজো মহালয়া নামে পরিচিত।

লখনউ বেঞ্চ অবশ্য রজনীশের পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু সমাজমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন তাজমহলের নীচের ২২টি ঘর বন্ধ করে রাখা আছে। কী তার রহস্য। সোমবার এএসআই-য়ের পদক্ষেপ সেই বিতর্কে খানিকটা ইতি টানবে বলে মনে করা হচ্ছে। এএসআই ওই ঘরগুলির ছবি প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছে, সেখানে কোনো রহস্য নেই।

কী আছে ২২টি ঘরে

১৯৭৮ সালের বন্যায় প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ওই ঘরগুলি। তারপরেই একে একে সাধারণ দর্শকদের জন্য ঘরগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগে যারা ওই ঘর দেখেছেন, তাদের বক্তব্য, ঘরগুলি মূলত সামার রুম হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। একাধিক মুঘল স্থাপত্যে এমন ঘর আছে। জলের ধারে ওই ঘরে সম্রাট এবং তার সহচররা থাকতেন, সময় কাটাতেন বলে ইতিহাসবিদদের একাংশের বক্তব্য। একসময় আগ্রা দুর্গ থেকে নদীপথে শাহজাহান তাজমহলে আসতেন। তাজমহলের ঘাট থেকে সরাসরি ওই ঘরগুলিতে পৌঁছানো যেত বলে ইতিহাসবিদদের দাবি।

সোমবার এএসআই কয়েকটি ঘরের দুইটি করে ছবি প্রকাশ করেছে। সংস্কারের আগে এবং পরে ঘরগুলির চেহারা সেখানে দেখা যাচ্ছে। বন্যা এবং অন্য নানাবিধ কারণে ঘরগুলি কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তা স্পষ্ট ওই ছবিগুলিতে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)