1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‌তবু বাংলা প্রতিবাদহীন!‌‌

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

দেশের পাঁচজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীকে আটক করে গৃহবন্দি রেখেছে মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার৷ কিন্তু বাংলায় তার বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ প্রতিবাদের কোনো লক্ষণ নেই!‌

https://p.dw.com/p/34DGK
Symbolbild Polizeistreife in Neu Delhi
ছবি: AFP/Getty Images

কবি, সাংবাদিক এবং ঘোষিতভাবেই মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ভারাভারা রাওসহ দেশেরপাঁচ বামপন্থি বুদ্ধিজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে মহারাষ্ট্রের দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকার৷ এই গ্রেপ্তারি যে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নির্দেশেই, তা-ও বলার অপেক্ষা রাখে না৷ কারণ, এই বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে গোপনে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ ছাড়াও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকা, নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র, এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রাণনাশের ছক কষার মতো গুরুতর অভিযোগও আনছে সরকার৷ দাবি করা হচ্ছে, প্রতিটি অভিযোগের সপক্ষে জোরালো তথ্য-প্রমাণ থাকার৷ এবং এক্ষেত্রেও জড়ানো হচ্ছে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের৷ ওই বুদ্ধিজীবীদের সহায়তায় জেএনইউ'র পড়ুয়ারাই নাকি সরকার ফেলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল গোপনে৷

এমন অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় কার্যত সারা দেশজুড়ে নিন্দিত হচ্ছে মোদী সরকার৷ কিন্তু বিস্ময়করভাবে নীরব শহর কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ৷ বিচ্ছিন্ন কিছু প্রতিবাদ কোথাও হলেও হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু নজরে পড়ার মতো সংগঠিত, জোরদার বিরোধিতার এখনো কোনো লক্ষণ নেই৷ অবশেষে গত রবিবার, রবীন্দ্রসদন চত্বরের শিশির মঞ্চে এক অনুষ্ঠানে ফ্যাসিবাদবিরোধী সমাবেশে শামিল হলেন বুদ্ধিজীবীরা৷ প্রবীণ কবি শঙ্খ ঘোষ, সাহিত্যিক দেবেশ রায় ছাড়াও ছিলেন শিক্ষাবিদ চিন্ময় গুহ, চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার, নাট্য ব্যক্তিত্ব অশোক মুখোপাধ্যায়, বিভাস চক্রবর্তী, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, নবীনদের মধ্যে চন্দন সেন, কৌশিক সেন, কবি মন্দাক্রান্তা সেন প্রমুখ৷ বন্ধ প্রেক্ষাগৃহে বসে তাঁরা সবাই ভারতে এই নব্য ফ্যাসিবাদের বিপদ নিয়ে আলোচনা করলেন৷ এই প্রতিবাদসভা হলো ভারাভারা রাও এবং অন্য চার বুদ্ধিজীবীর গ্রেপ্তারির ৬ দিনের মাথায়৷

কিন্তু বাংলায় এই নিয়ে ব্যাপকতর প্রতিবাদ হচ্ছে না কেন?‌ খুব বেশি মানুষ কি আর ভাবিত নয় আদিবাসীদের অধিকার বা সামগ্রিকভাবে দেশের সমস্যা নিয়ে?‌ আদিবাসী স্বার্থকে সমর্থন করার দায়ে রাষ্ট্র কাদের শাস্তি দিতে চাইছে, তা নিয়ে আজকের কোনো বাঙালি তরুণ ছাত্র, যুবক আদৌ বিচলিত নয়, এটাই কি কারণ?‌ আজকাল নিরাপদে প্রতিবাদ জানানোর যে জনপ্রিয় মঞ্চ, সেই ফেসবুকেও তাই প্রতিবাদ হয়েছে খুবই বিক্ষিপ্ত৷ কিন্তু এর পরেও একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে৷ যে ধরপাকড় অন্ধ্রপ্রদেশ বা মহারাষ্ট্রে ঘটছে, পশ্চিমবঙ্গে তা ঘটতে কতক্ষণ?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য