1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে চান কর্বিন

১৫ আগস্ট ২০১৯

চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে ব্রিটেনের বিরোধী দল ও সরকারের একাংশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷ বিরোধী নেতা কর্বিন অনাস্থা প্রস্তাব এনে সরকার ভেঙে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে চান৷

https://p.dw.com/p/3Nvlb
ব্রিটেনের লেবার পার্টির নেতা জেরেমি কর্বিন
ছবি: picture-alliance/empics/A. Chown

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রেক্সিটের প্রশ্নে কড়া অবস্থান নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন৷ এখন তিনি নিজেই এমন চাপের মুখে পড়েছেন, যে তাঁর গদি নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে৷ তিনি প্রয়োজনে আগামী ৩১শে অক্টোবর চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট কার্যকর করার হুমকি দিয়ে আসছেন৷ সংসদে এই অবস্থানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাড়ছে৷ প্রথমে স্পিকার জন বার্কো, তারপর প্রধান বিরোধী দলের নেতা জেরেমি কর্বিন প্রধানমন্ত্রীকে সাবধান করে দিয়েছেন৷

লেবার দলের নেতা কর্বিন বুধবার বলেছেন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিপর্যয় এড়াতে তিনি যত দ্রুত সম্ভব সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন৷ সব দলের নেতা ও সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, সরকারের হাতে ‘নো ডিল ব্রেক্সিট'-এর কোনো ম্যান্ডেট বা জনাদেশ নেই৷ কর্বিন জানিয়েছেন, অনাস্থা ভোটে সরকারের পরাজয় ঘটলে তিনি নিজে সীমিত সময়ের জন্য তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন৷ তারপর তিনি সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করে ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবেন৷ নির্বাচনি প্রচারে লেবার দল ইইউ ত্যাগের প্রশ্নে আবার গণভোটের পক্ষে অবস্থান নেবে এবং তার ফলাফল মেনে নেবে, জানান কর্বিন৷

ক্ষমতাসীন টোরি দলের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর কড়া অবস্থানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাড়ছে৷ বুধবার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বরিস জনসনের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে ইইউ-র সঙ্গে আলোচনা বানচাল করার অভিযোগ এনেছেন৷ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, সংসদের হাতে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট থামানোর ক্ষমতা রয়েছে৷ দ্য টাইমস সংবাদপত্রে লেখা এক প্রতিবেদনে তিনি মনে করিয়ে দেন, যে ব্রিটিশ জনগণ ও সংসদ চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে৷ তাঁর মতে, আপাতত টোরি দলের কট্টরপন্থিরা সরব থাকলেও সংখ্যার বিচারে তাদের শক্তি কম৷

কোণঠাসা প্রধানমন্ত্রী ঘরে-বাইরে এই প্রতিরোধের সমালোচনা করেছেন৷ তাঁর মতে, সংসদে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরোধিতার ফলে ইইউ-র সঙ্গে আলোচনার টেবিলে ব্রিটেনের সরকারের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ছে৷ ফলে ব্রিটেনের সংসদ চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বন্ধ করতে সফল হয় কিনা, তা দেখতে ইইউ অপেক্ষা করবে৷

এই অবস্থায় আগামী ৩রা সেপ্টেম্বর গ্রীষ্মকালীন বিরতির পর সংসদের অধিবেশনের দিকে সবার নজর থাকবে৷ তবে ব্রিটেনের অলিখিত সংবিধান বর্তমান সংঘাতকে জটিল করে তুলতে পারে৷ কারণ ব্রেক্সিটকে ঘিরে বর্তমান অচলাবস্থা ব্রিটেনের ইতিহাসে নজিরবিহীন৷ স্বল্পমেয়াদী অধিবেশনে সরকারের হাতে সংসদের কর্মসূচি থাকায় সংসদ সদস্যরা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)