1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী  

৪ মার্চ ২০২১

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর চূড়ান্ত করতে আজ সকালে একদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন৷

https://p.dw.com/p/3qBok
ছবি: bdnews24.com

একটি বিশেষ ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ঢাকার বঙ্গবন্ধু বিমান ঘাঁটিতে নামেন৷ সেখানে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন৷ দুপুর সোয়া ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও জয়শঙ্করের সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে৷ বিকাল ৫টায় ভারত ভবনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ঢাকা ছাড়বেন তিনি৷

বুধবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয় জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সামনে আমাদের মুজিববর্ষের চলমান কর্মসূচির অংশ হিসাবে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ বেশ কিছু অনুষ্ঠান সাজানো হচ্ছে৷ এবং সেটা সামনে রেখে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর একটি সফর হওয়ার কথা রয়েছে৷ সব সফরকে ঘিরে আমাদের প্রত্যাশা থাকে, অন্ততপক্ষে জটিল বিষয়গুলোকে আলোচনা করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপার থাকে, এগুলো নিয়ে আলাপ করার জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন৷’’

মোদীর সফর ঘিরে যোগাযোগ বা ‘কানেক্টিভিটির’ ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়টি জোর পেয়েছে মন্তব্য করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘‘যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে৷ নতুন একটি ট্রেন সার্ভিস চালু হওয়ার কথা রয়েছে৷ সেটি আশা করি, আমরা চালু করতে পারব খুব শিগগিরই৷ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে৷’’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘কোভিড-১৯ কেবল একটি স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা নয়, এটি অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থাও তৈরি করেছে৷ বিশেষ করে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো একটি বড় অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ এটার একটি বড় প্রভাব কিন্তু আমাদের মত সরবরাহকারী দেশগুলির উপর পড়তে পারে৷’’

‘‘ভারত থেকে প্রচুর কাঁচামাল আসে, সেক্ষেত্রে এই কাঁচামাল এবং আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বাধাগুলি কীভাবে দূর করা যায়, সেগুলো আলোচনা হবে৷’’ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের আলোচনায় ‘অগ্রগতি’ হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে নদী বা পানি বিষয়ক যে বৈঠকগুলি হচ্ছিল না, সেগুলির ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে৷ তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে যে কোনো কিছু চূড়ান্ত হবে, আমরা জোরালোভাবে তা প্রত্যাশা করি না৷’’ তিস্তা চুক্তির বিষয়টি বাংলাদেশের অগ্রাধিকারে থাকবে কিনা, এমন প্রশ্নের তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের সব সময়ের প্রায়োরিটি৷’’

‘কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ’ চুক্তির বিষয়টি দু'দেশের আলোচনার টেবিলে রয়েছে৷ এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি যৌথ সমীক্ষা করার জন্য এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৷

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতিসংঘ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উত্তরণের সুপারিশপত্র পেয়েছি৷ সামনের তিন বা ছয় বছরে আমাদের অর্থনীতি আরও গতিশীল করার জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা এটা আজকের এজেন্ডা নয়৷

ভারত সম্প্রতি বাংলাদেশের যানবাহনকে সরাসরি ভুটান ও নেপালে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়াকে একটি বড় পাওয়া বলে মন্তব্য করেন শাহরিয়ার আলম৷

ভারতের ডাউকি ও বাংলাদেশের তামাবিল অংশে একটি ‘পেট্রাপোল’ নির্মাণ 'প্রায় হয়েই’ গেছে বলেও তিনি জানান ৷ তাছাড়াও বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য ভারতের চেন্নাইতে বাংলাদেশের একটি সহকারী হাই কমিশন খোলার চুড়ান্ত অনুমোদন হয়ে যাওয়ার কথাও জানান তিনি৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

২০১৯ সালের অক্টোবরের ছবিঘরটি দেখুন...