ঢাকা মাতালেন কাটরিনা, অক্ষয়, সালমান, শাকিব খান
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাত বারোটার পর আকাশে আতশবাজির আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে বিগ শো-এর অনুষ্ঠান যখন শেষ হল, তখন একদল দর্শক হতাশ আর আরেকদল বেশ উৎফুল্ল৷ হতাশ তারাই যারা সালমান খানকে মঞ্চে ভালো করে দেখার বা বোঝার আগেই নায়ক বেপাত্তা৷ আর যারা উৎফুল্ল, তারা চোখের সামনে সশরীরে রূপোলি পর্দার এত বড়মাপের তারকাদের দেখে আত্মহারা৷
প্রথমে বাংলাদেশের শিল্পীদের অনুষ্ঠান৷ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুভ্র দেবের গানের সুরে শুরু, এরপর ফরিদা পারভীনের লালনের গান, চন্দনা মজুমদার, ইভা রহমানের গান শেষে মঞ্চে ওঠেন শাকিব খান৷ জনপ্রিয় কয়েকটি গানের সঙ্গে পারফর্ম করে দর্শকদের হৃদয় মাতিয়ে দেন বাংলাদেশের কিং খান৷ এবার মঞ্চে শ্রীলঙ্কান শিল্পীরা৷
এরপরেই মঞ্চে আনুশকা শর্মা৷ রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হল ভারত পর্ব৷ আনুশকার পর মঞ্চে আসেন বলিউডের জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক প্রীতম এবং তাঁর ব্যান্ড মেট্রো৷ বাংলাদেশেই তাঁর পৈতৃক ভিটে, সে খবর জানিয়ে প্রীতম বাংলায় গাইলেন ‘আমি বাংলায় গান গাই'৷ বাংলাদেশের তাপসকে সঙ্গে নিয়ে করেন ‘তু জানে না' গানটি৷ এর পরই ক্যাটওয়াক করতে করতে মঞ্চে হাজির হলেন ক্যাটরিনা কাইফ৷ তারপর অক্ষয় কুমার এবং সবশেষে সালমান খান৷ ‘জয় বাংলা' স্লোগান দিয়ে অক্ষয় জানালেন, ‘সাতাশ বছর আগে আমি বাংলাদেশে পূর্বাণী হোটেলে কাজ করতাম৷' অবশেষে মঞ্চে সালমান খান৷ ‘দাবাং', ‘ও ও জানে জানা', ‘হামকো পিনি হ্যায়' সহ কয়েকটি গানে তাড়াহুড়ো করে নেচে কথা বললেন একটু৷ আর তারপরেই আতসবাজি দিয়ে শেষ হয়ে গেল অনুষ্ঠান৷
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে এটিএন ইভেন্টস আয়োজিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কনসার্টটি নিয়ে কিন্তু এবার নানা কথা শোনা যাচ্ছে৷ বিশেষ করে ভাষা আন্দোলনের মাস, একুশের মাসে এ ধরণের ভিন্ন ভাষা আর চটুল সংস্কৃতির অনুষ্ঠানের প্রাসঙ্গিকতা কতটা, সে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম