ডয়চে ভেলের সম্মেলনে খ্যাতিমানদের কয়েকজন
আগামী ২০-২১ জুন ডয়চে ভেলের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷ ২০০৮ সালে প্রথম এই বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল৷ বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ এতে অংশ নিয়েছেন৷
আঙ্গেলা ম্যার্কেল
২০২১ সালের সম্মেলনে অংশ নিয়ে সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বলেছিলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক সমাজে আমরা যেখানে নতুন কিছু গ্রহণ করতে রাজি থাকি, আমাদের সতর্কভাবে চিন্তা করতে হবে আমাদের কাছে স্বাধীনতার মানে আসলে কী৷’’
মারিয়া রেসা, ২০২১ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী
২০২০ সালের গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে যোগ দিয়েছিলেন ফিলিপাইনের নিউজ ওয়েবসাইট ব়্যাপলারের প্রধান নির্বাহী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মারিয়া রেসা৷ সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা আমাদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করে যাব কারণ আমি বিশ্বাস করি আমরা পার্থক্য গড়ে দিতে পারি৷ এটাই আমাদের সংগ্রামে প্রতিক্রিয়া জানানোর কৌশল: আরও সাংবাদিকতা৷’’
আরমিন লাশেট, জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর প্রার্থী
২০২১ সালের জার্মান নির্বাচনে তিনি সাবেক চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দল থেকে চ্যান্সেলর প্রার্থী হয়েছিলেন৷ জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন তিনি৷ ২০২১ সালে সম্মেলনে অংশ নিয়ে লাশেট বলেছিলেন, ‘‘স্বাধীন সত্য তথ্যের ভিত্তিতে করা সাংবাদিকতা এখন যতটা গুরুত্বপূর্ণ আগে ততটা ছিল না৷’’
লিমা বোয়ি, শান্তিতে নোবেলজয়ী
২০১১ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী লাইবেরিয়ার অ্যাক্টিভিস্ট বোয়ি ২০২১ সালে সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা একটা মাইক্রোওয়েভ প্রজন্মে বাস করি৷ সবাই সবকিছু খুব দ্রুত চায়, কিন্তু আমাদের কাজ করতে হবে৷’’
স্ভেতলানা টিখানভস্কিয়া, বেলারুশে বিরোধী নেতা
‘‘এটা দুঃখজনক যে যখন সহিংসতা ও নির্যাতনের কারণে রাস্তায় আমাদের বিক্ষোভ থেমে যায় তখন সাংবাদিকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন৷’’
মাসি আলিনেজাদ, ইরানের নারী অধিকার কর্মী (২০২০)
‘‘তারা আমাকে ইরান থেকে বের করে দিয়েছে, কিন্তু সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে আমি সবসময় সেখানে থাকি৷’’
জ্যারন লেনিয়ার, কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও লেখক (২০১৯)
‘‘অ্যালগরিদম ভয়ের মতো নেতিবাচক অনুভূতিগুলিকে গ্রহণ করে এবং সেগুলোকে গুরুত্ব দেয়৷ সে কারণে সারা বিশ্বে ভয়-ভিত্তিক রাজনীতির সৃষ্টি হয়েছে৷’’
জান ডুনডার, তুরস্কের ‘জুমহুরিয়েট’ পত্রিকার সাবেক প্রধান সম্পাদক (২০১৯)
‘‘স্বৈরশাসকের মতো আচরণ করা একজন রাজনীতিবিদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা কঠিন৷ সেই ব্যক্তি যখন আপনাকে জেলে পাঠাতে পারে তখন আপনি তাকে কী প্রশ্ন করতে পারেন?’’
হামিদ কারজাই, আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট (২০১৮)
‘‘আমাদের একটি দেশের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল না থেকে ভারসাম্যের স্বার্থে অনেকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে উন্নয়নের বড চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে হবে৷’’
মিখাইল খদরকোভস্কি, ওপেন রাশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা (২০১৭)
‘‘আমি আশা করি পশ্চিমা বিশ্বের লোকেরা ক্রেমলিন ও রাশিয়ার মধ্যে পার্থক্য করতে পারবে; পুটিন ও রাশিয়া৷’’
ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ার, জার্মান প্রেসিডেন্ট (২০১৪)
‘‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আজ সারা বিশ্বে চাপের সম্মুখীন হচ্ছে৷ আমি সাংবাদিকদের উত্সাহ দিয়ে বলতে চাই: গণতন্ত্রের জন্য আপনাদের সবাইকে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজন৷’’
শিরিন এবাদি, ইরানের মানবাধিকারকর্মী (২০০৮)
‘‘সাংবাদিকদের নিজেদের অবশ্যই একটি বড় পরিবারের সদস্য হিসেবে দেখতে হবে এবং একসাথে থাকতে হবে৷’’