সেই ১৯৫৩ সালের ৩রা মে থেকে তার যাত্রা শুরু করে ডয়চে ভেলে৷ প্রথমে রেডিও, তারপর টেলিভিশন এবং সবশেষে প্রযুক্তির আরেকটা দুয়ার খুলে যায় – অনলাইন৷ এই দীর্ঘ ৬০ বছরে ডয়চে ভেলের পরিচয় হয়েছে বিশ্ববন্দিত নানা ব্যক্তিত্বের সঙ্গে৷
শিরিন এবাদি
‘‘অনেক আগে, যেদিন প্রথম ডয়চে ভেলের সম্প্রচার শুনেছিলাম, নিরপেক্ষতা এবং বস্তুনিষ্ঠতার ব্যাপারটি খুব উপভোগ করেছিলাম সেদিন৷ তখন সবসময় সংবাদ এবং প্রতিবেদনগুলো শুনতাম৷ পরে ডিডাব্লিউ যখন ফার্সি ভাষায় অনলাইন সার্ভিস চালু করল, তখন বেতার অনুষ্ঠানের বাইরের সময়েও শুধু একটা ‘ক্লিক' করেই সব খবরাখবর জানতে লাগলাম৷ ডিডাব্লিউ ফার্সির বস্তুনিষ্ঠ খবর, ছবি নিয়ে সুন্দর সব আয়োজনও খুব আগ্রহ নিয়ে অনুসরণ করি আমি৷ ডয়চে ভেলের ৬০ বছর পূর্তিতে আমি সকল সাংবাদিক এবং সম্পাদকদের ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি৷''
শিরিন এবাদি ইরানের একজন আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী৷ ইরানে গণতন্ত্র, নারী, শিশু এবং শরণার্থীদের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পান তিনি৷
আই ওয়েওয়ে
‘‘৬০ বছর পূর্তিতে ডিডাব্লিউকে অভিনন্দন৷ এই ৬০ বছরে ডিডাব্লিউ রাজনীতি এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে৷ বিশেষ করে ডিডাব্লিউ'র চীনা বিভাগ চীনে মুক্ত গণমাধ্যম এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে ভালো কাজ করেছে এবং করছে৷ চীনা ভাষার প্রোগ্রাম ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ কামনাই করছি৷''
আই ওয়েওয়ে চীনের খ্যাততম ভিন্নমতাবলম্বী শিল্পীদের মধ্যে গণ্য৷ ইউরোপ-অ্যামেরিকায় তাঁর শিল্পকর্মের বহু প্রদর্শনী হয়েছে৷ ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকের প্রখ্যাত পাখির বাসা স্টেডিয়ামের ডিজাইনেও তাঁর অবদান ছিল৷ অন্যদিকে বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে আই ওয়েওয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের কুনজরে পড়েছেন বহুবার৷ ডয়চে ভেলের সেরা অনলাইন অ্যাক্টিভিজম অ্যাওয়ার্ড বা ‘দ্য বব্স' প্রতিযোগিতার চীনা ভাষার বিচারকও ছিলেন তিনি৷
সিমা সমর
‘‘স্কুলে পড়ার সময় থেকেই আমি ডয়চে ভেলে শুনি৷ একটা সময় ছিল, যখন ভাষা শিক্ষার অনুষ্ঠানও মন দিয়ে শুনতাম৷ আমি মনে করি, আফগানিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের ওপর ডয়চে ভেলের প্রভাবটা খুব ইতিবাচক৷ অনুষ্ঠান খুব উন্নত মানের হয় বলেই আফগান গণমাধ্যমের কাছে ডিডাব্লিউ এখন রোল মডেলের মতো৷ মানবাধিকার রক্ষার দীর্ঘ এক আন্দোলন চলছে আফগানিস্তানে৷ আর ডয়চে ভেলে তাতে খুব উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে৷''
সিমা সমর রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপকদের একজন৷ আফগানিস্তানে নারী আন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘ দিন যাবৎ জড়িত তিনি৷ বর্তমানে দেশটির মানবাধিকার কমিশনের প্রধান সিমা সমর৷