1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেলের চীন সফর

২৪ মে ২০১৮

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে জার্মানি ও চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান বাণিজ্যিক সম্পর্কের সমালোচনা করেছেন৷ দু'টি দেশই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আমদানির চেয়ে বেশি রপ্তানি করে৷

https://p.dw.com/p/2yEuu
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

ট্রাম্প তাঁর ‘অ্যামরেকিা ফার্স্ট’ নীতির আওতায় দেশীয় শিল্পকে সুবিধা দিতে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির উপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন৷ চীনের ক্ষেত্রে সেটি ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে৷ আর জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষেত্রে তা আগামী মাস থেকে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷

এছাড়া ইরান চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ পাশাপাশি যেসব কোম্পানি ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করবে তারাও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে বলে জানিয়েছেন৷ জার্মান ও চীনা কোম্পানিগুলোর উপর এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে৷ কারণ ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ইরান চুক্তির অন্যতম অংশীদার রাষ্ট্র জার্মানি ও চীন৷ ট্রাম্পের ঘোষণার পর দেশ দু'টি জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই ইরান চুক্তি চালিয়ে যাবে৷ চীন সফররত জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও স্বাগতিক দেশের প্রধানমন্ত্রী লি কোচিয়াং বৃহস্পতিবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করেছেন৷ ম্যার্কেল বলেছেন, ইরান চুক্তি পুরোপুরি নিখুঁত নয়, কিন্তু তার বিকল্প আরও অনিশ্চিত৷

চীনের সঙ্গে অ্যামেরিকার বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বছরে প্রায় ৩৩৫ বিলিয়ন ডলার৷ এটি দূর করতে যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে পণ্য আমদানির উপর শুল্ক আরোপ করেছে৷ পালটা প্রতিক্রিয়া হিসেবে চীনও কিছু মার্কিন পণ্য আমদানির উপর শুল্ক আরোপ করে৷ তবে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পর রবিবার চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য কিনতে রাজি হওয়ায় দুই দেশই আপাতত আমদানি শুল্ক কার্যকরের বিষয়টি স্থগিত রেখেছে৷

চীন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের এমন সব সিদ্ধান্ত জার্মানি ও চীনকে কাছাকাছি এনেছে বলে মনে করেন জার্মান কর্মকর্তারা৷

জার্মানি-চীন বাণিজ্যিক সম্পর্ক

চীনে দু'দিনের সফরে আছেন জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ ২০০৫ সালে প্রথমবার চ্যান্সেলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে ১১ বার চীনে গেলেন তিনি৷ এই যাত্রায় তাঁর সঙ্গে জার্মানির ১৮ জন ব্যবসায়ী আছেন৷ আগামীকাল তাঁরা চীনের প্রযুক্তির কেন্দ্রবিন্দু শহর শেনজেন-এ যাবেন৷

জার্মানির ব্যবসায়িক নেতা ও আইনপ্রণেতারা দীর্ঘদিন ধরে চীনে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে থাকা নানান বাধার সমালোচনা করে এসেছেন৷ বিশেষ করে চীনে বাণিজ্য করতে গেলে নাকি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের তাদের ব্যবসায়িক বুদ্ধি প্রকাশ করতে একরকমের বাধ্য করা হয়৷ তাছাড়া ব্যবসা করতে গেলে চীনা কর্তৃপক্ষকে একটি উল্লেখযোগ্য অংশের মালিক করতে হয়৷

এসব বিষয় নিয়ে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কোচিয়াংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ এই সময় তিনি যাত্রীবহণকারী গাড়ি আমদানির উপর শুল্ক কমানোয় চীনকে ধন্যবাদ জানান৷ মঙ্গলবার এক সিদ্ধান্তে এ ধরনের গাড়ির উপর ধার্য থাকা শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করার ঘোষণা দেয় চীন৷

চীনা প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে চীনে জার্মানির স্বয়ংক্রিয় গাড়ি সংক্রান্ত বিনিয়োগকে স্বাগত জানান৷ বিনিয়োগকালীন সময়ে জার্মান কোম্পানিগুলো কোনো সমস্যার মুখোমুখি হলে চীনা আইন অনুযায়ী তাদের নিরাপত্তা দেয়া হবে বলে জানান তিনি৷

বৃহস্পতিবার রাতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে৷

জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এপি)