ডিসেম্বরের শুরুতেই লকডাউন উঠছে যুক্তরাজ্যে
২৪ নভেম্বর ২০২০এর পরিবর্তে, করোনা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাজ্যকে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হবে, যেমনটা করা হয়েছিল এর আগেও৷ এই অঞ্চলভিত্তিক ‘টিয়ার্ড সিস্টেম' কিছু নির্দিষ্ট অংশগুলিতে, যেখানে বেশি সংক্রমণ রয়েছে, সেখানে কড়াকড়ি বাড়াবে৷ একেবারে উপরের স্তরে, সমস্ত পানশালা, রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখা হবে ও সর্বোচ্চ দুটি বাসার মানুষদেরই একে অপরের সাথে মিশতে দেওয়া হবে৷ কিন্তু অন্যান্য টিয়ারগুলোতে ঠিক কী কী কড়াকড়ি থাকবে, তা এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি৷ জনসন জানিয়েছেন যে দেশের বেশিরভাগ অংশই সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ির দুটি স্তরের মধ্যেই থাকবে৷ এই নিয়মের আওতায় থাকবে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড৷
টিকার আগমনে বদলাচ্ছে পরিস্থিতি?
বিশ্বে করোনা সংক্রমণের ঢেউ ব্যাপকভাবে আছড়ে পড়েছে যুক্তরাজ্যের ওপর৷ সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫ হাজার, আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ৷ এর মধ্যে সামনের মাসের নতুন নিয়ম আস্তে আস্তে বিধিনিষেধ শিথিল করবে৷ নতুন নিয়মের আওতায় মানুষ এখন জিমে, দোকানে, সাজগোজের দোকান ইত্যাদিতে আবার যেতে পারবেন৷
শুধু তাই নয়, মানুষ এখন কোনো নির্দিষ্ট প্রয়োজন ছাড়াই বাসা থেকে বেরোতে পারবেন৷ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে পারবেন যুক্তরাজ্যের মানুষ৷
এই সংকট থেকে উত্তরণ বিষয়ে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘‘চিকিৎসা পরিষেবা ও টিকা গবেষণায় দ্রুতহারে উন্নতি আমাদের ভরসা দিচ্ছে যে এই সংকটের মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক সৈন্য প্রস্তুত৷ আমরা জানি যে আগামী বছর এই সংকট কাটিয়ে উঠবই৷ এবছর আমরা যা যা কড়াকড়ির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, তা আমাদের আগামী বসন্তে আর করতে হবে না৷ সংকটের কঠিন মোড় পেরিয়ে এসেছি আর সামনে উত্তরণের পথ খুবই স্পষ্ট৷''
টিকা গবেষণা এগোলেও মানুষের ওপর তা চাপিয়ে দিতে চান না জনসন৷ তিনি বলেন, ‘‘টিকা খুবই ভালো জিনিস, টিকা এলে সবারই তা নেওয়া উচিত৷ কিন্তু কাউকে জোর করে টিকা আমরা দেব না৷ আমাদের দেশে তা হয় না৷''
এসএস/কেএম (রয়টার্স, এপি)