1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডিসিসি নির্বাচন

১৭ এপ্রিল ২০১২

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে হাইকোর্ট৷ এ বিষয়ে বিশদ জানাতে গিয়ে নিউ এজ-এর সাংবাদিক খাদিমুল ইসলাম বলছেন, এতে ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী, উভয় দলই স্বস্তিতে৷

https://p.dw.com/p/14eoc
ছবি: DW

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন বা ডিসিসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় আদেশ দিল আদালত৷ তফসিল অনুযায়ী, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ২৪ মে ভোট হওয়ার কথা ছিল৷ এই আদেশের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিক খাদিমুল ইসলাম জানাচ্ছেন, আদালত বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি না নিয়েই এই নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করেছিল৷ অন্যদিকে দেখা যাচ্ছিল, ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দল উভয়েই এই নির্বাচনের জন্য প্রার্থী দিতে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছিল৷ উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজে বের করা হয়ে দাঁড়ডিয়েছিল একটা সমস্যা৷ সেক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশে এই নির্বাচন আপাতত তিন মাসের জন্য পিছিয়ে যাওয়ায় দুই শিবিরেই স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে৷

‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশে'-এর পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের করা একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়৷ সাংবাদিক খাদিমুল ইসলামের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, নির্বাচন হলে কারা ছিলেন সুবিধাজনক অবস্থানে? খাদিমুল জানালেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারপক্ষীয় দলের প্রার্থীদের অনেকেরই জনপ্রিয়তা সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে নেমে যেতে৷ সেক্ষেত্রে নির্বাচন হলে হয়তো বা বিরোধীরাই কিছুটা সুবিধা পেতেন৷

নির্বাচনের প্রস্তুতি পূর্ণাঙ্গ না থাকায় আদালতের নির্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, ঢাকার জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা, দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসককে দুই সপ্তাহের মধ্যে এর কারণ জানাতে বলা হয়েছে৷ সাংবাদিক খাদিমুল ইসলাম বলছেন, এখন দেখার বিষয় আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কী জবাব দেয়৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ