ডিডাব্লিউ-এর ওয়েবসাইট পড়ে সমৃদ্ধ হচ্ছি | পাঠক ভাবনা | DW | 29.04.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

ডিডাব্লিউ-এর ওয়েবসাইট পড়ে সমৃদ্ধ হচ্ছি

বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রচুর লেখাজোখা পেয়ে খুশি হলাম৷ একবার ওয়েবসাইট খুলে বসে সবগুলি পড়ে উঠতে পারা যাচ্ছে না যদিও, তবুও একটির পর একটি পড়তে পড়তে বেশ আনন্দ পাচ্ছি, নিজের জ্ঞানভাণ্ডারও ক্রমশ সমৃদ্ধ হচ্ছে৷

স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, আপনাদের ওয়েবসাইট বেশ সুন্দর, গোছালো এবং আকর্ষণীয়৷ আর সেজন্য রোজ একবার করে এই ওয়েবসাইটে না গিয়ে থাকা যায় না৷

‘উচ্চচাপ এক নীরব ঘাতক' নিবন্ধটি পড়ে ভাবছিলাম, সত্যিই একসময় উচ্চ রক্তচাপ এবং তার ফল হিসাবে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোককে ভাবা হত ধনী-বৃদ্ধদের রোগ, যারা প্রচুর খাওয়া দাওয়া করে এই বিপদ ডেকে আনেন৷ আজ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, যে কোনো সামাজিক স্তরের মানুষই উচ্চ রক্তচাপের শিকার হতে পারেন৷ তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতেও উচ্চ রক্তচাপ নীরব ঘাতকের ভূমিকা নিয়ে নিজ সাম্রাজ্যের জাল বিস্তার করছে৷ আমার মনে হয়েছে, একদিকে যেমন মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যচেতনার অভাব এজন্য দায়ী, অপরদিকে তেমনি দায়ী ফাস্ট ফুডের রমরমা৷ ফাস্ট ফুডগুলি যেমন ওবেসিটির কারণ, তেমনই ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়িয়ে দেয় শুনেছি৷ এ বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতার প্রসার খুব জরুরি৷

স্ট্রবেরি ফল নিয়ে ‘ছবিঘরটি' খুব ভালো লাগল৷ খারাপ লাগল, গ্রিসে বন্দুকের গুলিতে নায্য দাবি আদায় করতে গিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের আহত হওয়ার খবরটি৷

আশা রাখি, দোষী শাস্তি পাবে এবং আহতদের পরিবারগুলির কথাও সহানুভূতির সাথে ভাবা হবে৷ সবাই ভালো থাকবেন৷ এভাবেই তাঁর মতামত জানিয়েছেন পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেকা প্রধান৷

যারা ভেগান, তারা প্রাণী জাতীয় জিনিস খাবেন না কিংবা ব্যবহার করেন না৷ আমরা গরু পুষি দুধ, ঘি, মাখন খাওয়ার জন্য এবং শিশুদের সাধরণত গরুর দুধ খাওয়াতে হয়৷ যদি দেখা যায় ভেগানের জীবনধারা সকলের পছন্দ, তবে প্রাণী জাতীয় জীব অর্থাৎ গরু, মোষ, ছাগল আমাদের পোষা চলবে না৷ এদের বনে দিয়ে আসতে হবে এই বলে যে, বনেরা বনে সুন্দর৷ তারপরও এই ভেগান যারা তারা বেড়াল, কুকুর, পাখি শখ করে পুষে থাকে৷ বেড়াল, কুকুরকে একটু আমিষ জাতীয় খাদ্য দিতে হয়৷ তাহলে তো বেড়াল, কুকুর পোষাও বন্ধ রাখতে হবে৷ আশা রাখি, কালের গতিতে জীবনধারার এক বিরাট পরিবর্তন হবে৷ এই ই-মেলটি পাঠিয়েছেন সুহৃৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, জৌগ্রাম, বর্দ্ধমান থেকে৷

‘মূল্যবোধের সঞ্চয়ও শূন্য' এই প্রতিবেদনটি পড়ে কিছু লেখার প্রয়োজন বোধ করলাম৷ বাঙালি মাত্রই কায়িক শ্রমে ভারতের অনান্য রাজ্যের তুলনায় বিশেষ দক্ষ নয়৷ ফলে ১০ টাকা এক বছরের মধ্যে ১০০ টাকায় রূপান্তরিত করতে কোনো কায়িক পরিশ্রমের দরকার হয় না৷ খালি সময়ের ব্যবধান৷ আমাদের নিম্ন আয়ের মধ্যবিত্ত মানুষেরা এই নীতি ওতপ্রোতভাবে সমর্থন করেছেন৷ কারণ প্রাক্তন সরকার ও বর্তমান সরকার নানরকম বিজ্ঞাপন মারফৎ পোস্ট অফিসে কিংবা ব্যাংকের মাধ্যমে সঞ্চয় গছিত রাখার অনুরোধ করেছেন৷ কিন্তু বাঙালি শ্রমজীবী সম্প্রদায় এতে কর্ণপাত না করে বিরাট প্রলোভনে এই সব জাতীয় চিট ফান্ডে সঞ্চয় গছিত করেছেন৷ ফল যা হবার তাই হয়েছে৷ আরো বিশেষভাবে বলি, এই সব মহানুভব মানুষরা যেন ভগবানের কাছ থেকে জনসাধারণের কাছ থেকে মগজ ধোলাই করে টাকা আত্মসাৎ করার কায়দা-কানুন, বুদ্ধি ও প্রতিভা নিয়েই জন্মেছেন৷

তা না হলে এরা মানুষকে টুপি পাড়িয়ে, সরকারের উপর প্রভাব বিস্তার করে আত্মসাতের পুঁজির পাহাড় তৈরি করেছেন কীভাবে? এই দেশের সরকার ঘুনাক্ষরে তা টের পায়নি৷ এখন এই জাতীয় মহাপুরুষ জাল থেকে বেরুবার জন্য অনেকরকম ফন্দি-ফিকির বার করবেন৷ তাই বলছিলাম, এইসব প্রলোভন এড়িয়ে আপনার ইতিবাচক ধ্যান-ধারণা এই সব কায়িক পরিশ্রম বিহীন বাঙালিকে উপহার দিন৷ ই-মেল দু'টো পাঠিয়েছেন সুহৃদ বন্দ্যোপাধ্যায়, জৌগ্রাম, বর্দ্ধমান থেকে৷

২৭শে এপ্রিল ভারতীয় সময় রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে এ চিঠি লিখছি৷ ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইট খুলে বেশ অবাক হলাম৷ আজকের বিভিন্ন প্রতিবেদন ছাড়াও আগামীকালের, এমনকি আগামী পরশুদিনের অনেক প্রতিবেদন চোখে পড়ল৷ যেমন ‘বিশ্ব' বিভাগে ২৯ তারিখের দুটি প্রতিবেদন এবং ২৮ তারিখের দুটি প্রতিবেদন, ‘জার্মানি ইউরোপ' বিভাগে আগামীকালের একটি প্রতিবেদন, ‘বিজ্ঞান পরিবেশ' বিভাগে আগামী কালের একটি প্রতিবেদন, ‘সমাজ সংস্কৃতি' বিভাগে আগামীকালের একটি প্রতিবেদন ছাড়াও আগামী পরশু দিনের পাঁচটি প্রতিবেদন৷ ‘খেলাধূলা' বিভাগে আগামীকালের একটি প্রতিবেদন৷

বুঝলাম না আগাম এতগুলি প্রতিবেদন দেওয়ার কারণটা কী? তাছাড়াও একসাথে এত বেশি সংখ্যক প্রতিবেদন থাকলে কোনোটাই ভালোভাবে পড়া হয়ে ওঠে না৷ বিশেষত আমার মতো সর্বভুক পাঠকদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়৷ আশাকরি বিষয়টা ভেবে দেখবেন৷ এতগুলি প্রতিবেদন ঘেঁটেও ‘ছবি খুঁজুন' প্রতিযোগিতার ছবি খুঁজে পেলাম না৷ কোনো প্রতিবেদনের সাথে এটা রয়েছে পরবর্তীকালে জানালে বাধিত হবো৷ সুখময় মাজী, গঙ্গাজলঘাটী, বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে৷

- ভাই সুখময় মাজী, আপনি লিখেছেন, ‘একসাথে এত বেশি সংখ্যক প্রতিবেদন থাকলে কোনোটাই ভালোভাবে পড়া হয়ে ওঠে না'৷ আপনি যেদিনের জন্য যে প্রতিবেদনগুলো দেওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই যদি পড়েন, তাহলে মনে হয় সময়ের দিক থেকে কোনো অসুবিধা হবে না৷

- মতামত জানানোর জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ৷ সবসময় এভাবেই সাথে থাকবেন আর মতামত জানাবেন, কেমন?

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন