ডিজনিল্যান্ডের ইতিহাস
ওয়াল্ট ডিজনির স্বপ্ন ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দের স্থান গড়ে তোলা৷ যেমন ভাবা, তেমন কাজ৷ ১৯৫৫ সালে তিনি একটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক গড়ে তোলেন৷ ৬০ বছর পরেও লক্ষ লক্ষ মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এই মনোরঞ্জন মন্দির দেখতে আসছে৷
আমার নাম খরগোস, আমি কিছুই জানি না?
আসলে উলটোটাই ঠিক৷ অ্যানিমেশন জগতের জাদুকর ওয়াল্ট ডিজনি (১৯০১-১৯৬৬) গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকেই মানুষের মনোরঞ্জনের চাবিকাঠি খুঁজে পেয়েছিলেন৷ রূপকথার চরিত্রদের হাত ধরে কল্পনার জগতে ডুব দেওয়ার অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি – যেমন ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’ গল্পের খরগোসের সঙ্গে৷
চাষের খেত থেকে স্বপ্নের জগত
লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের কাছে ৩৫ হেক্টর চাষের জমিতে মিকি মাউসের স্রষ্টা এক স্বপ্নলোক গড়ে তোলেন৷ তারপর গোটা বিশ্বে তার আদলে আরও ১৩টি ডিজনি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক গড়ে তোলা হয়৷
১৯৫৫ সালের ১৭ই জুন উদ্বোধন
সেই রবিবার আবালবৃদ্ধবনিতা কেল্লার মধ্য দিয়ে এক অজানা, অচেনা জগতে প্রবেশ করে...
৬০ বছর পর
আজও প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ আকর্ষণ করে ডিজনিল্যান্ড৷ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যামিউজমেন্ট পার্কগুলির মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এই আকর্ষণ৷ প্রতিদ্বন্দ্বীরাও একই পরিবারের – ফ্লোরিডার ডিজনি ওয়ার্ল্ড (১ কোটি ৯০ লক্ষ দর্শক) এবং জাপানের টোকিও শহরের ডিজনিল্যান্ড (১ কোটি ৭০ লক্ষ দর্শক)৷
একবারে সাধ মেটে না
কেউ কেউ বার বার ফিরে আসে৷ যেমন ক্যালিফোর্নিয়ারই বাসিন্দা ডুগ মার্শ৷ ১৯৯০ সাল থেকে তিনি ২,০০০ বার ডিজনিল্যান্ডে ঢুঁ মেরেছেন৷ আগে তো প্রতি দিনই যেতেন৷ এখন ৫৭ বছর বয়সে প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর সেদিকে ছোটেন৷
মায়াবী জগতের বিপণন
শুধু ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ৫০০-রও বেশি নতুন সুভেনির উৎপাদন করা হয়েছে৷ প্রায় ২৩ ইউরো দামের আলো বসানো মিনি মাউসের কান থেকে শুরু করে ক্রিস্টাল দিয়ে তৈরি ডিজনিল্যান্ডের কেল্লার ক্ষুদ্র সংস্করণ – যার দাম প্রায় ৩৪,০০০ ইউরো৷ সে তুলনায় প্রবেশ মূল্য কী আর বেশি! সারাদিনের টিকিটের দাম ১০০ ইউরো৷
মজা আর টানটান উত্তেজনা ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা
অ্যামিউজমেন্ট পার্ক চালায় ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি৷ ধীরে ধীরে সেটি বিশাল রূপ নিয়েছে৷ গত বছর লেনদেনের মাত্রা ছিল ৪ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার৷ পার্ক ছাড়াও কোম্পানি টেলিভিশনে ডিজনি চ্যানেল চালায়৷ এছাড়া ডিজনিরই পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিও চলচ্চিত্র প্রযোজনার ক্ষেত্রে বড় নাম৷ ডিজনিল্যান্ডের আরো স্বাদ পেতে উপরে ডানদিকের লিংক ক্লিক করুন