ডার্ক ম্যাটার খুঁজবে সার্ন
পদার্থবিজ্ঞানীদের কাছে অন্যতম বিস্ময় ‘ডার্ক ম্যাটার’৷ বিস্ময়কর এই পদার্থের সন্ধান পেতে বিশ্বের তাবৎ বিজ্ঞানীরা কোনো চেষ্টাই বাকি রাখেননি৷ কিন্তু এখনো তার দেখা পাওয়া যায়নি৷
সবার কাছে বিস্ময়
পদার্থবিজ্ঞানীদের কাছে অন্যতম বিস্ময় ‘ডার্ক ম্যাটার’৷ বিস্ময়কর এই পদার্থের সন্ধান পেতে বিশ্বের তাবৎ বিজ্ঞানীরা কোনো চেষ্টাই বাকি রাখেননি৷ কিন্তু এখনো তার দেখা পাওয়া যায়নি৷
সার্নে গবেষণা
গড পার্টিকল বলে পরিচিত হিগস কণার সন্ধান পাওয়া ইউরোপের সার্ন ল্যাবরেটরি ২০১৫ সালে ডার্ক ম্যাটারের খোঁজ করবে৷ এ জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে লার্জ হেডরন কোলাইডার বা এলএইচসি৷ ছবিতে এলএইচসি টানেলের ভেতরটা দেখা যাচ্ছে৷
হিগসের চেয়েও বড়
হিগস আবিষ্কারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. লস্কর মোহাম্মদ কাশিফ৷ তিনি বলেন, ডার্ক ম্যাটারের সন্ধান পাওয়া গেলে সেটা হবে হিগস কণা আবিষ্কারের চেয়েও বড় সাফল্য৷ ছবিতে ড. কাশিফকে দেখা যাচ্ছে (বামে)৷
সার্নে ড. কাশিফের কাজ
এলএইচসির সাতটি ডিটেক্টরের মধ্যে একটি অ্যাটলাস৷ হিগস আবিষ্কারের সঙ্গে যে দুটো ডিটেক্টর জড়িত ছিল এটি তার মধ্যে একটি৷ ছবিতে অ্যাটলাসের একটি কম্পোনেন্ট মিউয়ন চেম্বার দেখা যাচ্ছে৷ পিএইচডি করার সময় এসব ইনস্টল ও পরীক্ষা করে দেখার কাজ করেছেন ড. কাশিফ৷
অ্যাটলাসের আকার
৪৬ মিটার দীর্ঘ, ২৫ মিটার ব্যাস ও সাত হাজার টন ওজনের অ্যাটলাস ডিটেক্টর ইনস্টল করার সময়কার ছবি এটি৷ খেয়াল করলে দেখবেন মাঝখানে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন৷ এর মাধ্যমে অ্যাটলাস ডিটেক্টর যে কত বড় তা সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে৷
সার্নের বড় সাফল্য
১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ’ বা সার্নের এখন পর্যন্ত বড় সাফল্য হলো হিগস কণার আবিষ্কার৷ ২০১২ সালে সার্ন এই কণার সন্ধান পাওয়ার ঘোষণা দেয়৷
বহু দেশের বিজ্ঞানীর সমাগম
সার্ন ল্যাবরেটরিটা ইউরোপের হলেও সেখানে কাজ করেন বিশ্বের অনেক দেশের বিজ্ঞানী৷ বাংলাদেশের ড. কাশিফ তাঁদের মধ্যে একজন৷ ছবিতে চতুর্থ সারিতে ডান থেকে দ্বিতীয় ব্যক্তিটি হলেন তিনি৷
বাংলাদেশ-সার্ন সহযোগিতা
এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন সার্নের মহাপরিচালক জার্মান কণা পদার্থবিদ অধ্যাপক রল্ফ-ডিটার হয়ার৷ সে সময় বাংলাদেশ সরকার ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সার্নের সহযোগিতামূলক কাজ নিয়ে আলোচনা হয়৷ এর প্রেক্ষিতে চলতি বছর সার্নের ‘সামার প্রোগ্রাম’এ অংশ নিচ্ছেন ঢাবির এক শিক্ষার্থী৷