1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডাইমলারের এক বিলিয়ন ইউরো নেট লোকসান

৩০ জুলাই ২০০৯

২০০৮ সালের শেষ কোয়ার্টার এবং ২০০৯-এর প্রথম কোয়ার্টারেও বেশী লোকসান করেছে জার্মানির ডাইমলার কোম্পানি, যারা মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ীর নির্মাতা৷ সর্বশেষ কোয়ার্টারে ১.০৬ বিলিয়ন ইউরো লোকসান সে তুলনায় আশঙ্কার চেয়ে কম৷

https://p.dw.com/p/Izti
দুর্যোগের মুখে মার্সিডিজ তারকাছবি: AP

বিশ্লেষকরা বস্তুত ১.৩৪ বিলিয়ন ইউরোর লোকসান প্রত্যাশা করছিলেন৷ কিন্তু তা বলে খুশী হবার কোনো কারণ নেই৷ ২০০৮-এর দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ডাইমলার মুনাফা করেছিল ১.৪ বিলিয়ন ইউরো৷ সাল থেকে সাল এবং কোয়ার্টার বনাম কোয়ার্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ী – যার মধ্যে স্মার্টও পড়ে – এই সব গাড়ীর বিক্রী কমেছে ৩,৫৪,০০০ থেকে ২,৮৭,২০০-য়৷ ডাইমলার ট্রাকের বিক্রী ৫৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪,১০০-টিতে৷

২০০৯ সালে কিন্তু পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি ঘটবে বলেই ডাইমলারের ধারণা৷ এমনকি সব মিলিয়ে এপ্রিল থেকে জুনের পরিসংখ্যান তার আগের তিন মাসের চেয়ে ২৪ শতাংশ উপরে৷ তবে সমগ্র ২০০৯-এ বিক্রীবাটা কমবে এবং কর্মীছাঁটাইও ঘটবে৷

স্বখাত সলিল

আরো বলা দরকার, ২০০৯ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারেও ডাইমলারের এক বিলিয়ন ইউরোর বেশী লোকসানের জন্য শুধু বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিই দায়ী নয়, এর কিছুটা স্বখাত সলিলও বটে৷ মার্কিন গাড়ী তৈরীর কোম্পানি ক্রাইসলারে ডাইমলারের প্রায় বিশ শতাংশ ভাগ ছিল, যেটা সের্বেরাস ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টকে বিক্রী করতে গিয়ে ডাইমলার ঠিক ঐ দ্বিতীয় কোয়ার্টারেই ৩৮৭ মিলিয়ন ইউরো খুইয়েছে: এই অর্থ হল অংশত কর্মীদের অবসরভাতার জন্য৷

এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী বিএমডাবলিউ-এর মতোই ডাইমলারের বড় আকারের লাক্সারি গাড়ীগুলি জার্মান সরকারের বোনাস স্কীম থেকে লাভবান হতে পারেনি৷ ঐ বোনাস স্কীম অনুযায়ী পুরনো গাড়ী বিদায় করে নতুন গাড়ী কিনলে সরকারী তহবিল থেকে বোনাস পাওয়া যায়৷ কিন্তু সেই স্কীমের সুযোগ যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা ছোটগাড়ীর খরিদ্দার৷ কাজেই বিএমডাবলিউ-এর মতো এখন ডাইমলারকেও তাদের এস-৪০০ হাইব্রিড মডেলের কথা বলতে শোনা যাচ্ছে৷ তাদের জিএলকে কমপ্যাক্ট এসইউভি মডেলটির জন্য একটি চার সিলিন্ডার ডিজেল ইঞ্জিন ইতিমধ্যেই কিনতে পাওয়া যাচ্ছে৷ গতকাল ডাইমলারের বিবৃতিতেই বলা হয় যে তারা তাদের গোটা মডেল রেঞ্জকে বিশেষ করে পরিবেশ-বান্ধব এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী ইঞ্জিন দিয়ে সম্পূর্ণ করবে৷

যখন একা

আর এই মন্দার বাজারে ডাইমলার তো একা নয়৷ বুধবার ফ্রান্সের পিউজো-সিট্রোয়েন, জাপানের হন্ডা এবং নিসান, সকলের পরিসংখ্যানেই লালকালির দাগ দেখা যায়৷ এবং এরা সকলেই পরিবেশ বান্ধব গাড়ীর মাধ্যমেই লাভের অঙ্কে ফেরার স্বপ্ন দেখছে৷ সেটা আনন্দের কথা বৈকি৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই