ঠেকেই শেখে মানুষ – কিংবা সিম্বা
১৮ জুলাই ২০১৭মাস খানেক আগে মারা সাইটিংস-এ আপলোড করা ভিডিও৷ বলতে কি, প্রায় ফাঁকা মাঠের মধ্যে লম্বা, সরু একটা গাছ; মাটি থেকে অনেকটা ওপরে কিছু ডালপালা আছে৷ বাচ্চা সিংহটা তার ওপরে উঠেছিল খেলতে গিয়ে নয়, হায়নাদের হাত থেকে প্রাণ বাঁচানোর জন্য৷ তার নিজের যমজ ভাইকে নাকি ঐ হায়নারাই মেরেছে৷ তাই মা শিকারে যেতেই আমাদের চালাক সিং সোজা পড়ি-কি-মরি করে গাছে উঠে গিয়েছে, যতটা পারে, যতদূর পারে – আপাতত জান বাঁচলেই হল৷ পরে দেখা যাবে গাছ থেকে কী করে নামা যায়৷
মা সুদ্ধু সিংহের দলটা বোধহয় কাছেই ছিল৷ তাই সিংহপুঙ্গব যখন খোঁটার মতো শেষ ডালটায় এসে আটকা পড়েছে – সেখানেই ঝুলে আছে – তা সে-ও মাটি থেকে অন্তত ২০-২৫ ফুট উঁচুতে, তখন নীচের দিকে তাকিয়ে বেচারার আর নামার সাহস নেই – যদি পড়ে যায়! কাজেই কুঁই কুঁই করে মাকে ডাকা৷
মা এসে একবার লাফ দিয়ে গুঁড়ি বেয়ে ওঠার চেষ্টা করল বটে – কিন্তু তার শরীর খোকা সিংগির শরীর তুলনায় অনেক ভারী, খানিকটা উঠেই আবার নেমে আসতে হল৷ তবে মা-মাসিরা কাছাকাছিই থাকল: দেখা যাক খোকা কবে গাছ থেকে নামে৷ ঠিক সেই মুহূর্তে খোকার পা হড়কাল...
আর ঐ হড়কাল বলেই সে এবার মাথা নীচের দিকে করে নামবার চেষ্টা না করে, ন্যাজ নীচের দিকে করে, গাছের কাঠে নখ বিঁধিয়ে সুন্দরভাবে খানিকটা নেমে এসে, লাফ দিয়ে মাটিতে পড়ল আর দৌড়ে মায়ের কাছে গেল৷
মা তখন তাকে বলছেন: তুই তো সিংগি৷ যদি বাঘ হতিস, তাহলে বাংলা নামে দেশে গিয়ে দেখতিস মানুষজন কীভাবে শুধু হাতে আর পায়ে দড়ি বেঁধে সর সর করে তালগাছ, নারকেলগাছে ওঠে আর নামে...৷
এসি/ডিজি