1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঠিক সময়ে চুক্তিসহ ব্রেক্সিটের পথে অনড় মে

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন দলের তিন সংসদ সদস্য দলত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করিয়ে নির্ধারিত সময়ে ইইউ ত্যাগ করতে বদ্ধপরিকর৷ ইইউ এখনো তাঁকে কোনো ছাড় দেয় নি৷

https://p.dw.com/p/3DlzJ
ছবি: DW/ Dominik Joswig

ব্রেক্সিটের তারিখ এগিয়ে আসা সত্ত্বেও ব্রিটিশ রাজনৈতিক জগতে অস্থিরতা কাটার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ উলটে একের পর এক সংসদ সদস্য দুই প্রধান দল ছেড়ে চলে গিয়ে সংসদে বিভাজনের মাত্রা আরও স্পষ্ট করে তুলছেন৷ লেবার দলের আট জন সদস্যের প্রস্থানের পর বুধবার ক্ষমতাসীন টোরি দলের তিন জন সদস্যও সেই পথ বেছে নিলেন৷ আগামী দিনগুলিতেও দলত্যাগের এই প্রবণতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ দলত্যাগী সংসদ সদস্যরা নতুন এক গোষ্ঠী সৃষ্টি করে বিরোধী উদারপন্থি দলকেও তাতে যোগ দেবার আহ্বান জানিয়েছে৷ এই অবস্থায় ব্রেক্সিটের প্রশ্নে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার কাজ সরকারের পক্ষে আরও কঠিন হয়ে পড়বে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে নিজের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন৷ বুধবার তিনি ব্রাসেলসে গিয়ে আবার ব্রেক্সিট চুক্তিতে রদবদলের পক্ষে সওয়াল করেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নও এই প্রশ্নে নিজস্ব সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে৷ তা সত্ত্বেও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকারের সঙ্গে আলোচনার পর মে সংলাপে অগ্রগতির দাবি করেন৷ ইয়ুংকার-ও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন৷ দুই পক্ষ জট কাটাতে আলোচনা চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেছে৷

উল্লেখ্য, আইরিশ সীমান্তে প্রস্তাবিত ‘ব্যাকস্টপ' ব্যবস্থার ফলে ব্রিটেন স্থায়ীভাবে ইউরোপীয় শুল্ক কাঠামোয় আটকা পড়ে যাবে, এমন আশঙ্কা এড়াতে আইনসিদ্ধ বোঝাপড়া চান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ মূল ব্রেক্সিট চুক্তির বাইরে এ ক্ষেত্রে বোঝাপড়ার উদ্যোগ চলছে৷ মে বলেন, ব্রেক্সিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী স্টিফেন বার্কলে ও ব্রিটেনের অ্যাটর্নি জেনারেল জিওফ্রি কক্স বৃহস্পতিবার ব্রাসেলস সফর করে এ বিষয়ে অগ্রগতির চেষ্টা চালাবেন৷ কোনো সম্ভাব্য অগ্রগতি সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল সন্তুষ্টি প্রকাশ করলে সংসদ সদস্যরাও ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে ভোট দেবেন বলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আশা করছেন৷ বিরোধী লেবার দলের নেতা জেরেমি কর্বিন-ও বৃহস্পতিবার ব্রাসেলস সফর করছেন৷ চলতি মাসের শেষেই মে ও ইয়ুংকার আবার সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছেন৷

এমন অচলাবস্থার ফলে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিটের আশঙ্কা আরও বেড়ে যাচ্ছে৷ ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, এই ঝুঁকি আরও বেড়ে গেছে৷ রেটিং সংস্থা ফিচ জানিয়েছে, ব্রিটেনের রেটিং আরও কমিয়ে আনা হতে পারে৷

সার্বিকভাবে ব্রিটেনের অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কার আরও চিত্র উঠে আসছে৷ বুধবার ইইউ চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের প্রস্তুতি সম্পর্কে নতুন বিবৃতি প্রকাশ করেছে৷ মোট ১৯টির প্রস্তাবের মধ্যে ৭টি এর মধ্যেই অনুমোদিত হয়েছে৷

এসবি/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)