1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্রের ৪ কোটি মানুষ দরিদ্র

১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র্যতা বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা৷ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ৮ জনের মধ্যে একজন দরিদ্র৷ সেদেশে মোট দরিদ্রের সংখ্যা অন্তত ৪ কোটি৷

https://p.dw.com/p/2pU1w
ছবি: Frederic J. Brown/AFP/Getty Images

জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ শুক্রবার এই তথ্য তুলে ধরে সতর্ক করে বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে এই পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে৷ রিপাবলিকানদের নতুন আয়কর নীতির কারণেই এই পরিণতি বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি৷

জাতিসংঘের চরম দারিদ্র্য এবং মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ফিলিপ অ্যালস্টন দুই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অঙ্গরাজ্য ঘুরে এই পরিস্থিতি দেখতে পেয়েছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য এবং পুয়ের্তোরিকোতে অবস্থা বেশ খারাপ৷ তিনি তাঁর সফরে মানুষকে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করতে দেখেছেন৷ এমন অনেক শিশু দেখেছেন যাদের স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা নেই এবং তারা অপুষ্টিতে ভুগছে৷ তাদের লেখাপড়া করার পয়সা নেই৷ এসব দরিদ্র মানুষেরা বেশিরভাগ সময় জেলের ভেতর থাকছে, কারণ ক্ষুধার তাড়নায় তারা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে৷

এক বিবৃতিতে অ্যালস্টন বলেছেন, ‘‘ট্রাম্পের বেশ কিছু প্রশাসনিক নীতি এই দারিদ্র্য বৃদ্ধির কারণ৷ প্রথমত আয়কর বাড়ানো, সমাজকল্যাণ খাতে বাজেট কমানো, যা দরিদ্রদের অনিরাপত্তার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে৷ অ্যামরিকার স্বপ্ন অ্যামেরিকার বিভ্রান্তিতে পরিণত হয়েছে এবং যে কোনো ধনী দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক গতিশীলতার হার কমে গেছে৷''

ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনি প্রচারণায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অঙ্গীকার করেছিলেন৷ কিন্তু তার বেশিরভাগ নীতি ধনী আর দরিদ্রের মধ্যে কেবল ব্যবধান বাড়িয়ে চলছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে ৪ কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমার মধ্যে বসবাস করছে, যা মোট জনসংখ্যার ১২ ভাগ৷ এদের মধ্যে অর্ধেক চরম দারিদ্র্যর মধ্যে জীবনযাপন করছে৷



যুক্তরাষ্ট্র দারিদ্র্য সংক্রান্ত অ্যালস্টনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি আগামী বসন্তে প্রকাশ হবে এবং আগামী জুনে মানবাধিকার কাউন্সিলের কাছে এটি উপস্থাপন করবেন তিনি৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷