1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের ছেলের বউয়ের কাছে পাউডার ভর্তি খাম

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে জুনিয়র ট্রাম্পের স্ত্রী'র কাছে পাউডার ভর্তি খাম পৌঁছালো৷ তা খুলে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন তিনি৷ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে৷ চলছে তদন্ত৷

https://p.dw.com/p/2saQQ
Donald Trump Jr. und Ehefrau Vanessa Trump
ছবি: Reuters/B. Snyder

তাহলে কি জুনিয়র ট্রাম্পের স্ত্রী ভ্যানেসা ট্রাম্পের কাছে খাম পাঠালো সন্ত্রাসবাদীরা? প্রশ্ন ঘুরছে মার্কিন মুলুকে৷ ঘটনার সূত্রপাত একটি চিঠিকে ঘিরে৷ অভিযোগ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুত্রবধূর বাড়িতে একটি চিঠি পৌঁছায়৷ সেখানে নাম লেখা ছিল জুনিয়র ট্রাম্পের৷ খাম খুলতেই তিনি দেখতে পান, ভিতরে কোনো চিঠি নেই৷ রয়েছে পাউডার৷ খাম খোলার পর থেকেই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন ট্রাম্পের ছেলের বউ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে৷ যদিও প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনি নিরাপদ৷ খবর, জুনিয়র ট্রাম্পের স্ত্রী ছাড়াও তাঁর মাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ কারণ, সে সময় তিনিও বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন৷ কিন্তু তিনিও সুস্থ আছেন বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর৷

কিন্তু প্রশ্ন হলো, কে বা কারা, কেন ওই পাউডার ভর্তি খাম পাঠালো জুনিয়র ট্রাম্পের বাড়িতে? কী তাদের উদ্দেশ্য? পুলিশ এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের আধিকারিকেরা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছেন৷ তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি তাঁরা৷ জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে৷ তবে নিরাপত্তার খাতিরেই এখনই কিছু বলা হবে না৷ তবে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, খামে পাওয়া পাউডারে কোনো জীবাণু বা প্রাণঘাতী পদার্থ মেলেনি৷

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দফতর কিংবা তাঁর সংস্থার তরফ থেকেও বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি৷ উল্লেখ্য, ট্রাম্পের পরিবারের কাছে এই প্রথম পাউডার ভর্তি খাম পৌঁছায়নি৷ এর আগে ২০১৬ সালে ট্রাম্পের আরেক ছেলে এরিকের কাছেও একটি হুমকির চিঠি গিয়েছিল৷ সেখানেও সাদা পাউডার ছিল৷ যদিও সেই পাউডারেও প্রাণঘাতী কোনো পদার্থ ছিল না৷ পরবর্তীকালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দফতর ট্রাম্প টাওয়ারেও একই ধরনের একটি খাম গিয়ে পৌঁছায়৷

খাম ভর্তি সাদা পাউডার নিয়ে মার্কিন মুলুকে প্রথম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে ২০০১ সালে৷ বেশ কয়েকটি সংবাদসংস্থা এবং আইন বিষয়ক দফতরে সে সময় এ ধরনের খাম পাঠিয়েছিল অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীরা৷ সেই পাউডারে ছিল অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু৷ সেই সময় ৫ জনের মৃত্যুও হয়েছিল৷ এফবিআই তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন৷

তবে প্রশ্ন অন্য৷ কেন বার বার ট্রাম্পের পরিবারের কাছে এ ধরনের খাম পাঠানো হচ্ছে? কারা পাঠাচ্ছে? এটা কি কোনো হুমকি? কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতো হাই প্রোফাইল ব্যক্তির পরিবারের কাছে কীভাবে পৌঁছাচ্ছে এই চিঠিগুলি? নিরাপত্তারক্ষীরা কেন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না? কেন পাউডার ভর্তি খাম আগেই স্ক্যান করা যাচ্ছে না? প্রশ্ন সহজ৷ তবে উত্তর দিতে আপাতত রাজি নয় মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থা৷ 

এসজি/ এসিবি (রয়টার্স, ডিডাব্লিউ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য