1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে নতুন পরিকল্পনা

২০ ডিসেম্বর ২০১৯

ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব সেনেটে যাওয়ার আগে নতুন ছক সাজাচ্ছেন ডেমোক্র্যাটরা। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে তাঁরা ৪ জন সাক্ষীকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছেন।

https://p.dw.com/p/3V7jf
ছবি: picture-alliance/Xinhua/T. Shen

পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উচ্চকক্ষ বা সেনেটে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব পাশ হওয়ার সম্ভাবনা কম। সে কথা বুঝে এ বার কোমর বেঁধে নেমেছে অ্যামেরিকার রিপাবলিকান পার্টির বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট। সেনেটে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের দিন পিছিয়ে আরও বেশি তথ্য সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট নেতৃত্ব।

বুধবার এক ঐতিহাসিক অধিবেশনে অ্যামেরিকার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনে। প্রায় দশ ঘণ্টা বিতর্কের পরে ভোটাভুটি হয়। আর তাতেই পাশ হয়ে যায় প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব। মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ডেমোক্র্যাচদের দখলে। কিন্তু উচ্চকক্ষ সেনেট রিপাবলিকানদের দখলে। সেখানে দুই তৃতীয়াংশ ভোটে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব পাশ না হলে ট্রাম্প বেঁচে যাবেন। সে কথা মাথায় রেখেই ডেমোক্র্যাট নেতা তথা নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যানসি পেলোসি বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ''আমরা সেনেটে ইমপিচমেন্ট সংক্রান্ত আলোচনা পিছনোর চেষ্টা করছি।'' কিন্তু কেন?

US-Präsident Donald Trump
ছবি: picture-alliance/CNP/M. Reynolds

পেলোসির বক্তব্য, তাঁরা সেনেটের সামনে ৪ জন সাক্ষীকে হাজির করতে চান। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলি আনা হয়েছে, তাঁরা তার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ওই ৪ জনকেই বরখাস্ত করেছে। ডেমোক্র্যাটরা চাইছেন ওই ৪ জনের বয়ান সেনেটের সামনে তুলে ধরতে। তাঁদের বিশ্বাস সেই বয়ান শোনার পরে সেনেটের রিপাবলিকান সাংসদরাও ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন।

প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মূলত দুটি অভিযোগ আনা হয়েছিল নিম্নকক্ষে। এক, পুনর্নিবাচনের সম্ভাবনা বাড়াতে ট্রাম্প বিদেশি হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন৷ ইউক্রেনের সরকারের উপর অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে তিনি রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেয়েছিলেন৷ এবং দুই, তিনি জাতীয় নিরাপত্তার তোয়াক্কা করেননি এবং পার্লামেন্টের কার্যকলাপে বাধা দিতে অভূতপূর্ব অভিযান চালিয়েছেন৷ ট্রাম্প দুটি অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার পেলোসির সাংবাদিক বৈঠকের পরেও ট্রাম্প টুইট করে পেলোসিকে আক্রমণ করে। তাঁর বক্তব্য, ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই পেলোসি সেনেটে বিষয়টি তুলতে ভয় পাচ্ছেন। সময় কেনার চেষ্টা করছেন।

আগামী জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেনেটে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের বিষয়টি আলোচনায় ওঠার কথা। তবে ডেমোক্র্যাটদের চেষ্টা যদি সফল হয়, তাহলে তা আরও বেশ কিছু দিন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।

এসজি/ জিএইচ (এএফপি, এপি, রয়টার্স)