টোঙ্গার অগ্ন্যুৎপাতের ভয়াল প্রভাব পেরুতে
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সাগরের নীচে থাকা ক্যাবল কেটে যাওয়ায় প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে টোঙ্গা৷ তার জেরে পেরুতে বিপুল পরিমাণে তেল ছড়িয়ে পড়ছে৷ একে সর্ববৃহত্ বাস্তুতান্ত্রিক বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করেছে পেরু৷
টোঙ্গার আঁচ পেরুতে
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গার আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুত্পাতের ফলে পাঁচ থেকে ১০ মিটার উঁচু ঢেউ তৈরি হয়েছিল৷ টোঙ্গার আঁচ এসে পড়েছে পেরুতে৷ বিশাল তৈল বিপর্যয়ে রীতিমতো নাজেহাল দশা৷
পেরুতে চলছে পরিষ্কারের কাজ
শক্তিশালী অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সুনামির প্রভাব যে ভালো তই পড়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে৷ ১৫ জানুয়ারি পেরুর কাছে আনলোড করা একটি তেলের ট্যাঙ্কারে আঘাত হানে সেই সুনামি৷ কর্মীরা সেই তৈল বিপর্যয় সামাল দিতে ব্যস্ত৷
সৈকতে মৃত পাখির দেহ
তেল পড়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও দৃশ্যমান হচ্ছে৷ পেরুর উপকূলে মৃত পাখি এবং তেলে ঢাকা মাছ ভেসে আসছে৷ প্রায় ছয় হাজার ব্যারেল তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ এর ফলে সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে৷
মৎস্যজীবীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা
মাছ ধরার কাজকর্ম স্থগিত রাখা হয়েছে৷ সৈকতে স্নান করতে নিষেধ এর পরিবর্তে সাদা বায়োসেফটি স্যুট পরা কর্মীরা রয়েছেন সমুদ্রতটে৷ বিপর্যয়ের ফলে অন্তত ২১টি সৈকত এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ স্পেনের সংস্থা রেপসলের ট্যাঙ্কার থেকে তেল ছড়িয়ে পড়েছিল৷ সেই সংস্থার কর্মীরা কাজ করছেন সমুদ্রতটে৷
‘পরিবেশগত জরুরি অবস্থা’
পেরুর রাষ্ট্রপতি পেদ্রো কাস্তিলো এই দুর্ঘটনাটিকে সর্ববৃহত্ ‘‘পরিবেশগত জরুরি অবস্থা’’ বলেছেন৷ প্রায় ১৭৪ হেক্টর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে তেল৷ এটি ২৭০টি ফুটবল মাঠের সমান৷ সমুদ্রসৈকত এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণে চরম আঘাত এই বিপর্যয়৷
মৎস্যজীবীদের প্রতিবাদ
মাছ ধরার ব্যবসা ছাড়াও তৈল বিপর্যয় পর্যটনেও প্রভাব ফেলেছে৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি টাকার বেশি৷