1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টোকিওতে জাপানী প্রধানমন্ত্রীর একটি মন্দির সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত

আবদুস সাত্তার১৯ অক্টোবর ২০০৫

টোকিওতে জাপানী প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কইজুমি এর একটি মন্দির পরিদর্শনের দুইদিন পরেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে৷ চীন ঘোষণা করেছে, জাপানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর পরিকল্পিত বেইজিং সফরে আসতে পারবেন না৷ দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর টোকিও সফর বাতিল করেছেন এবং উত্তর কো

https://p.dw.com/p/DPtT
ছবি: AP

��িয়া জাপানী প্রধানমন্ত্রীর মন্দির সফরের সমালোচনা করেছে৷ টোকিও এর মন্দিরটিকে জাপানী সামরিকত্ববাদের প্রতীক বলে গণ্য করা থাকে বলেই কইজুমি এর সফরের বিরুদ্ধে এসব প্রতিবাদ৷

জাপানের সরকার প্রধান জুনিচুরো কইজুমি টোকিও এর ইয়াসুকুনি মন্দির পরিদর্শন করেছেন দুইদিন আগে৷ কিন্তু এখনো তাঁর এই সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে৷ চীন গত মঙ্গলবারেই ঘোষণা করেছে, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী সপ্তাহান্তে তাঁর পরিকল্পিত বেজিং সফরে আসতে পারবেন না৷ দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর আসন্ন টোকিও সফর গতকাল বাতিল করেছেন৷ উত্তর কোরিয়াও জাপানী প্রধানমন্ত্রীর টোকিও এর মন্দির সফরের সমালোচনা করেছে৷ জাপানী রাজধানীর ইয়াসুকুনি যুদ্ধ মন্দিরটিকে গণ্য করা হয়ে থাকে জাপানী সামরিকত্ববাদের প্রতীক বলে৷ আর এ জন্যই এসব প্রতিবাদ৷ তবে জাপানী প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কইজুমি গতকাল বলেছেন, তাঁর সফরের মাধ্যমে এই তিন দেশের সঙ্গে নতুন করে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে জাপান তা মোকাবিলা করতে পারবে৷ কইজুমি বলেন, তিনি মন্দিরটি সফর করেছেন বিবেকের তাড়নায়৷ উল্লেখ্য যে, দুই হাজার এক সালের এপ্রিল মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কইজুমি বিতর্কিত মন্দিরটি পরিদর্শন করলেন পঞ্চমবারের মত৷ মন্দিরটিতে যুদ্ধে নিহত পঁচিশ লাখ জাপানীকে সম্মানিত করা হয়েছে৷ বহু সমালোচকের মতে, এভাবে জাপানের সামরিক অতীতকে বড় করে দেখানো হয়েছে৷

জাপানী প্রধানমন্ত্রীর মন্দির সফরের ওপর আশাহি পত্রিকায় একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে৷ তাতে ৪২ শতাংশ মানুষ কইজুমি এর সফরকে সমর্থন করেছেন এবং ৪১ শতাংশ তার বিরোধীতা করেছেন৷

এদিকে, তার বিতর্কিত টোকিও মন্দির পরিদর্শন বন্ধের যে আহ্বান জানানো হয়েছে জাপানী প্রধানমন্ত্রী কইজুমি তা নাকচ করে দিয়েছেন৷ কইজুমি এর গত সোমবারের মন্দির সফরের ফলে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে জাপানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে ৷ এ প্রসঙ্গে কইজুমি বলেন, জাপান তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগীতা বৃদ্ধি করছে৷ তাই ঐ দেশগুলোর সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক শুধু তাঁর মন্দির সফরের ওপর ভিত্তিশীল হতে পারে না৷