টোকিও অলিম্পিকে প্রযুক্তির কাণ্ডকীর্তি
অলিম্পিকের আয়োজনটা যখন জাপানে তখন প্রযুক্তির চমকতো থাকবেই৷ ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক অত্যাধুনিক আর ভবিষ্যত সব প্রযুক্তি দিয়েই দর্শকদের হতবাক করার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷
শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি
টোকিও অলিম্পিকে যত বিদ্যুতের ব্যবহার হবে তার সমস্ত যোগানই আসবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে৷ বায়ু আর সৌরবিদ্যুতে আলোকিত হবে স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে অ্যাথেলেট ভিলেজ৷
ফোন থেকে মেডেল?
টোকিও অলিম্পিকে খেলোয়াড়দের গলায় যে মেডেল উঠবে সেটি তৈরি হবে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট থেকে৷ মোবাইল ফোনে অল্প বিস্তর স্বর্ণ, তামা আর রূপা থাকে৷ সেগুলো আলাদা করেই ৫,০০০ মেডেল তৈরি হবে৷ এজন্য ৮০ হাজার মোবাইল ফোন ও ডিভাইস সংগ্রহ করা হয়েছে৷
চালকবিহীন গাড়ি
টোকিও অলিম্পিকের দর্শনার্থীদের যাতায়তে থাকছে চালকবিহীন ট্যাক্সি৷ স্মার্টফোনের মাধ্যমে ডাকলে ট্যাক্সি হাজির হবে, দুয়ার খুলবে এবং গন্তব্যে পৌঁছে ভাড়াও পরিশোধ করা যাবে৷ এসব ট্যাক্সির পরীক্ষামূলক যাতায়াতের অভিজ্ঞতা নিতে এরইমধ্যে ১,৫০০ আবেদন জমা পড়েছে৷
সাহায্যকারী রোবট
বিশ্বব্যাপী রোবট প্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দেয়া দেশ জাপান৷ টোকিও অলিম্পিকে তাই এর ব্যাপক উপস্থিতি থাকবে এমনটাই স্বাভাবিক৷ আগত দর্শকদের সহযোগিতায় মানব সদৃশ যন্ত্রের বড় একটি দলকে প্রস্তুত করছে জাপান, যারা ভেন্যুগুলোতে দর্শকদের দোভাষী ও তথ্য প্রদান বিষয়ক সেবা দেবে৷ কিছু রোবট প্রতিবন্ধী আর বয়স্কদের জিনিসপত্র বহনেও সহযোগিতা করবে৷
প্রযুক্তি শনাক্ত করবে চেহারা
টোকিও অলিম্পিকের ভেন্যুগুলোতে খেলোয়াড় আর কর্মকর্তাদের প্রবেশ দুয়ারে থাকবে বিশেষ একটি যন্ত্র৷ তার সামনে দাঁড়ালেই চেহারা শনাক্ত হবে এবং প্রবেশের অনুমতি মিলবে৷ এজন্য ২০২০ সালের জুলাইতে আয়োজন শুরুর আগেই তিন লাখ খেলোয়াড় আর কর্মকর্তাকে একটি ডেটাবেজ-এ ছবি সরবরাহ করতে হবে৷ এর বাইরে কেউ প্রবেশের চেষ্টা করলে সেটি তাৎক্ষণিকভাবেই জানা যাবে৷
নিরাপত্তায় ড্রোন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
১৪ হাজার নিরাপত্তা কর্মীর শার্টের সাথে স্মার্টফোন যুক্ত থাকবে, যেটি সার্বক্ষণিক ভিডিও করে নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে পাঠাতে থাকবে৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সেই ভিডিও বিশ্লেষণ করে জানিয়ে দেবে সন্দেহজনক কিছু হচ্ছে কিনা৷ সেই সঙ্গে নিরাপত্তা নজরদারিতে ৫০ থেকে ৭০ মিটার উচ্চতায় উড়ে বেড়াবে ড্রোনও৷