1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেবিল টেনিস বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ

৬ মে ২০১১

আগামী রবিবার থেকে নেদারল্যান্ডস-এর রটারডাম এ শুরু হচ্ছে টেবিল টেনিসের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা৷ ১৫ মে পর্যন্ত চলবে এই আসর৷ বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/11ASA
২০০৯ সালের বিশ্বকাপে জার্মান টিমছবি: AP

১২২টি দেশের ৭২৬ জন খেলোয়াড়, ১৩০০ হোটেল কক্ষ, ১০ হাজার টেবিল টেনিস বল, সাড়ে তিন'শ সাংবাদিক আর ৫০ কোটি টেলিভিশন দর্শক – এই নিয়েই শুরু হচ্ছে টেবিল টেনিসের বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ৷ এই আসরের এবারের আয়োজক জার্মানির প্রতিবেশী দেশ নেদারল্যান্ডস৷ সেখানকার রটারডাম শহরে অনুষ্ঠিত হবে এটি৷ সকল প্রস্তুতি চূড়ান্ত৷ আয়োজকরা প্রচণ্ড ব্যস্ত৷ ইতিমধ্যেই সেখানে আসতে শুরু করেছেন খেলোয়াড়রা৷

এই বিশ্ব আসরে প্রায় ১১ বছর পর আবারো অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ৷ বাংলাদেশের ৩ খেলোয়াড় – মানস চৌধুরী, হানিফ হ্যামলেট এবং জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মাহবুব বিল্লাহ অংশ নিচ্ছেন৷

BdT Tischtennis Weltmeisterschaft in Bremen
জার্মানির ব্রেমেন শহরে ২০০৬ সালে বসেছিল বিশ্বকাপের আসরছবি: AP

এ বিশ্বকাপ প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়, তবে একটু অন্যভাবে৷ এক বছর হয় একক, আর পরের বছরটি হয় দ্বৈত৷ এবারের আসরটিতে হবে একক প্রতিযোগিতা৷ এতে অংশ নেবেন পুরুষ এবং মহিলারা৷ তবে বাংলাদেশ থেকে মহিলা দল অংশগ্রহণ করছে না৷ তার কারণ তুলে ধরে টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম আনু সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার মতো পারফরমেন্স আমাদের মেয়েদের এখনো হয়নি৷ তাদের খেলার মান উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে৷''

এদিকে, রটারডামে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় ভারতীয় ১০ সদস্যের দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শরৎ কামাল৷ এই দলটি চীন থেকে নেদারল্যান্ডস-এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করছেন৷ চীনে বেশ কিছু সময় ধরে দলটির প্রশিক্ষণ হয়েছে৷ তাদের আশাবাদ এই আসরে তারা বেশ ভালো করবেন৷

বিশ্বকাপ শেষ হবার কিছুদিন বাদেই অর্থাৎ আগামী জুনে শ্রীলঙ্কায় বসছে দক্ষিণ এশীয় টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা৷ বাংলাদেশ এতে হল্যান্ডের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায়৷ দলের খেলোয়াড় মাহবুব বিল্লাহ বলেন, ‘‘টেবিল টেনিসের বিশ্বকাপে খেলবেন ওয়ার্ল্ডের প্রথম শ্রেণীর খেলোয়াড়রা৷ আমরা সেই মাপের খেলোয়াড় নই৷ তবে যাদের সাথেই খেলতে নামি, ভালো খেলার চেষ্টা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই সেখান থেকে৷ যা শ্রীলঙ্কায় কাজে লাগবে৷''

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন