টেনিসে জার্মানির কিংবদন্তি স্টেফি গ্রাফ
টেনিসে জার্মানির সর্বকালের সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় স্টেফি গ্রাফ৷ অবসর নেয়ার ২০ বছর পরও মেয়েদের টেনিসের ‘রোল মডেল’ তিনি৷
অনন্য স্টেফি গ্রাফ
স্টেফি গ্রাফ তাঁর ক্যারিয়ারে মোট ২২ টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন৷ এর মধ্যে ৪ টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ৬ টি ফ্রেঞ্চ ওপেন এবং ৭ টি উইম্বলডন থেকে৷ আর ৫টি এসেছে ইউএস ওপেন থেকে৷ ১৯৮৮ সালে চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম আসরে মেয়েদের একক জিতেছিলেন তিনি৷ মেয়েদের টেনিস ইতিহাসে এ পর্যন্ত মাত্র তিনজন পেয়েছেন এমন কৃতিত্বের দেখা৷ আগের দু’জন যুক্তরাষ্ট্রের মার্গারেট কনোলি (১৯৫৩) এবং অস্ট্রেলিয়ার মার্গারেট কোর্ট (১৯৭০)৷
‘গোল্ডেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম’
১৯৮৮ সালে অলিম্পিকে মেয়েদের একক শিরোপাও জিতেছিলেন তিনি৷ এই সাফল্য অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যায় তাঁকে৷ সেবার চারটি গ্যান্ড স্ল্যাম আসরের একক শিরোপার পর অলিম্পিক সোনাও জেতায় নারীদের টেনিসে ‘গোল্ডেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম’ জেতা একমাত্র খেলোয়াড় হয়ে যান তিনি৷
বছরে চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা এবং...
প্রতিভা, নিয়মানুবর্তিতা, ধৈর্য এবং মানসিক শক্তির যথাযথ মেলবন্ধন হওয়ার কারণেই টেনিসে এত সফল স্টেফি গ্রাফ৷ জার্মানির আরেক সাবেক টেনিস খেলোয়াড় মিশায়েল স্টিশ তা-ই মনে করেন৷ আরেক সাবেক টেনিস খেলোয়াড় ও বর্তমান জার্মান টেনিস ফেডারেশনের কোচ বারবারা রিটনারও তাঁর সঙ্গে একমত৷
নিজের প্রতিষ্ঠান
স্টেফি গ্রাফ তাঁর স্বামী সন্তানদের সময় দেওয়ার পাশাপাশি ব্যস্ত থাকেন মানসিকভাবে অসুস্থ শিশুদের ‘চিলড্রেন ফর টুমরো’ ফাউন্ডেশন নিয়ে৷
স্টেফি গ্রাফের কৃতজ্ঞতা
‘‘আমার যা আছে, যা পেয়েছি, তা নিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট, কৃতজ্ঞ৷ স্বামী-সন্তানদের নিয়ে সুখে আছি৷ আমার পরিবারই আমার কাছে সবকিছু,’’ বলেছেন স্টেফি গ্রাফ৷স্বামী সাবেক টেনিস তারকা আন্দ্রে আগাসি ও তাঁদের দুই সন্তানকে নিয়ে অ্যামেরিকার লাস ভেগাসে ভালোই আছেন তিনি৷