1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেনিস মাঠে টিকা নিয়ে টিটকিরি

২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে এবার অস্ট্রেলিয়ায় টিটকিরি দিলেন টেনিস দর্শকরা। টেনিস দর্শকদের আচরণের নিন্দায় সরকার।

https://p.dw.com/p/3pg7z
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালের পরই দর্শকরা ভ্যাকসিন নিয়ে টিটকিরি দেন। ছবি: Brandon Malone/AFP/Getty Images

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে পুরুষদের ফাইনালের পর একজন টেনিস কর্মকর্তা ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ভ্যাকসিনের দিকে সকলে তাকিয়ে আছেন অনেক আশা নিয়ে। তিনি এই কথা বলার পরই শুরু হয়ে যায় দর্শকদের টিটকিরি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনাল জিতেছেন জাকোভিচ। অতীতে তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছিল যে, তিনি করেনা ও টিকা সংক্রান্ত কড়াকড়ির ব্যাপারে খুবই উদাসীন মনোভাব দেখিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ার দর্শকদের আচরণ নিয়ে অতীতে অনেক বিতর্ক হয়েছে। কিছুদিন আগে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ক্রিকেট টেস্ট চলার সময় কিছু দর্শক বর্ণবাদী মন্তব্য করেন। তাঁদের মন্তব্য নিয়ে অতীতেও প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। এবার করোনার টিকাকে টিটকিরি দেয়া নিয়েও হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ায় সবে করোনার টিকা দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এই টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক নয়। এই সপ্তাহে ৬০ হাজার মানুষকে ফাইজারের টিকা দেয়ার কথা। সেই সময় ভ্যাকসিন নিয়ে টেনিস মাঠে এই বিদ্রুপ সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। উপ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দর্শকদের আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। কোনো ইভেন্টেই টিটকিরি দেয়া উচিত নয়। খেলার মাঠে তো নয়ই। তাঁর মতে, ভ্যাকসিন আবার অস্ট্রেলিয়াকে প্রাক-করোনা সময়ে নিয়ে যাবে।

উপ প্রধানমন্ত্রী যাই বলুন না কেন, অস্ট্রেলিয়ায় ভ্যাকসিন নিয়ে প্রতিবাদ চলছে। সিডনি ও মেলবোর্নে ভ্যাকসিন-বিরোধী সমাবেশ হয়েছে। মেলবোর্নেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মাঠে ভ্যাকসিন নিয়ে দর্শক টিটকিরি দিয়েছে। গত সপ্তাহ-জুড়ে করোনা ছড়াবার ভয়ে এখানে লকডাউনও করা হয়েছিল। তবে টেনিস ছাড় পেয়েছিল। অবশ্য করোনা ছড়ায়নি।

এই পরিস্থিতিতে করোনার ভ্যাকসিনকে বাধ্যতামূলক করা হয়নি। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনার টিকা অবশ্যই নেয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন রোববার টিকা নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। অক্সফোর্ডের টিকাও গত সপ্তাহে অনুমোদন পেয়েছে।

তবে সমালোচকরা মনে করছেন, অন্য অনেক দেশের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ায় টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত অনেক দেরিতে নেয়া হয়েছে। আসলে অস্ট্রেলিয়ার মানুষের মনে টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সেটা সরকারের সিদ্ধান্তেও প্রতিফলিত হয়েছে। সরকার অবশ্য বলেছে, তারা আগে টিকার সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তবেই অনুমোদন দিয়েছে। তার জন্য দেরি হয়েছে।

সোমবারের হিসাব, অস্ট্রেলিয়ায় ৪০ জন করোনায় আক্রান্ত। সকলেই হোটেলে কোয়ারান্টিনে আছেন।

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, বিবিসি)