1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘টেন বুক চ্যালেঞ্জ’

২৯ আগস্ট ২০১৪

আইস বাকেট, রাইস বাকেটের পর বাংলাদেশে এখন চলছে ‘টেন বুক চ্যালেঞ্জ’ জ্বর৷ ফেসবুকে এক বন্ধু অন্য ১০ বন্ধুকে ছুড়ে দিচ্ছেন এই চ্যালেঞ্জ৷ ১০টি বইয়ের নাম উল্লেখ করে ১০ জন বন্ধুকে ট্যাগ করে আপনি এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন৷

https://p.dw.com/p/1D3aT
Symbolbild Baby mit Buch lesen vorlesen
ছবি: Fotolia/Dmitry Sunagatov

যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ১১ থেকে ১৮ বছর বয়েসি শিক্ষার্থীদের টেন বুক চ্যালেঞ্জ দেয়া হয়৷ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় নানা ইস্যুর বই পড়তে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের৷ এর ফলে শিক্ষার্থীরা নানা বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন৷

ফেসবুক পাতায় এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান লিখেছেন, ‘‘আমি রুমি ভাইয়ের টেন বুক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি, যিনি আমাকে এমন ১০টি বইয়ের নাম উল্লেখ করতে বলেছেন যেগুলো আমার কাছে সবসময় আনন্দদায়ক, আমাকে উৎসাহ দিয়ে থাকে এবং শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়৷''

তিনি লিখেছেন, ‘‘আমি একজন গ্রন্থকীট নই৷ কারণ আমি ভীষণ অলস৷ তারপরও আমার কাছে এই ১০টি বইয়ের কথা প্রথমেই মনে এসেছে৷'' এরপর তিনি ১০টি বইয়ের নাম উল্লেখ করেন৷ এর মধ্যে ঠাকুরমার ঝুলি, পথের পাঁচালী, জীবন আমার বোন, চাচা কাহিনী, মুহাম্মদ-আ প্রফেট ফর আওয়ার টাইম উল্লেখযোগ্য৷

এরপর তিনি লিখেছেন, ‘‘এখন আমি আমার ১০ জন বন্ধুকে ট্যাগ করে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছি৷''

ওয়াহিদুজ্জামানের এই স্ট্যাটাসে অনেকেই অনেক মন্তব্য লিখেছেন৷ তার মধ্যে অনেকেই লিখেছেন, কেন হুমায়ূন আহমেদের, রবীন্দ্রনাথের, সুনীলের কোনো বইয়ের নাম নেই৷ অনেকে আরো অনেক জনপ্রিয় লেখকের বইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন৷ এর জবাবে ওয়াহিদুজ্জামান একজনের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘‘ মাত্র দশটা বইয়ের নাম বলতে বলা হয়েছে যেগুলো আমার কাছে একাধারে চিত্তাকর্ষক মনে হয়েছে, যেগুলো আমার জীবনে প্রভাব ফেলেছে এবং যেগুলো এখনো আমার মনে আছে৷ সেই তালিকা করতে গিয়ে অবশ্যই কষ্ট হয়েছে৷ তবে রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের মতো হুমায়ুন আহমেদ, সুনীল তো দূরের কথা আমার প্রিয় হেমিংওয়ে ও মার্কেজ পর্যন্ত জায়গা পায়নি৷ কারণ উনাদের বই আমার চিত্তাকর্ষণ করলেও আমার জীবনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি৷''

তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘আমার বই পড়ার আকর্ষণ তৈরি করেছে ঠাকুরমার ঝুলি, আর হাকলবেরি ফিন ও টম সয়ার আমার মধ্যে যে রোমাঞ্চের নেশা, সেটা তৈরি করেছে৷ পথের পাঁচালী আমাকে দেশের প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে৷ ট্রেজার আইল্যান্ড সেই কৈশোরেই আমার চ্যালেঞ্জিং চরিত্রটা তৈরি করে দিয়েছে৷ এছাড়া কারেন আর্মস্ট্রং এর ‘মুহাম্মদ: দ্য প্রফেট ফর আওয়ার টাইম' পড়ার পর আমি নিজের ধর্ম নিয়ে গভীরভাবে জানার আগ্রহ পেয়েছি৷''

পিনাকী ভট্টাচার্য তাঁর ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘আমি আমার দুই বন্ধুর দেয়া টেন বুক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি৷ তাঁর তালিকায় রয়েছে-নিকোলাই অস্ত্রভস্কি'র ইস্পাত, জওহর লাল নেহেরুর ‘গ্লিম্পস অফ ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি', সমরেশ মজুমদারের কালবেলা, সৈয়দ মুজতবা আলীর চাচা কাহিনী, ভগবত গীতা, ইমাম গাজালি'র তাহাফাতুল ফালাসিফা ও আরও চারটি বই৷ এরপর তিনি আরো ১০ জনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন৷

প্রতীম মজুমদার এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তাঁর ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘আমি আমার এক দাদার দেয়া টেন বুক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি৷ তাঁর দেয়া বইয়ের তালিকায় অন্যতম-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাঁদের পাহাড়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শ্রীকান্ত, মার্ক টোয়েনের অ্যাডভেঞ্চারস অফ হাকলবেরি ফিন, এরিক সেগাল এর ‘ম্যান, উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড', পল কোহেলো-র আলকেমিস্ট৷ এরপর তিনিও আরো ১০ বন্ধুকে টেন বুক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন৷

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য