1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টেক্সাস সিনাগগ আক্রমণ: অভিযুক্তের পরিচয় প্রকাশ

১৭ জানুয়ারি ২০২২

শনিবার ওই সিনাগগে চারজনকে পণবন্দি করেছিল এক ব্যক্তি। পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে। অভিযুক্ত যুক্তরাজ্যের নাগরিক।

https://p.dw.com/p/45c6p
টেক্সাস
ছবি: Brandon Wade/AP Photo/picture alliance

রোববার টেক্সাস সিনাগগ আক্রমণকারীর নাম এবং পরিচয় প্রকাশ করলো মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম মালিক ফয়সাল এ। তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। যুক্তরাজ্যের প্রশাসন রোববার জানিয়েছে, টেক্সাসে এক যুক্তরাজ্যের নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে সে কীভাবে মারা গেছে, ওই সিনাগগে সে চারজনকে পণবন্দি করেছিল, এসব কোনো কথাই যুক্তরাজ্যের প্রশাসন জানায়নি।

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার মার্কিন সময় সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ। টেক্সাসের ওই সিনাগগ বা ইহুদি মন্দিরে প্রার্থনা চলছিল। সেই প্রার্থনা লাইভ স্ট্রিমে দেখানোও হচ্ছিল। এমনই পরিস্থিতিতে বন্দুক নিয়ে ওই সিনাগগে ঢুকে পড়ে যুক্তরাজ্যের নাগিরক ফয়সাল। সিনাগগের মূল পুরোহিত-সহ তিনজনকে পণবন্দি করে সে। এরপর প্রায় দশঘণ্টা তাদের আটক করে রাখা হয়।

ঘটনা জানতে পেরেই যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসদমন শাখার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আক্রমণকারীর সঙ্গে তারা কথা বলতে শুরু করে। লাইভ স্ট্রিমে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি কীভাবে চারজনকে পণবন্দি করেছে। এবং কীভাবে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছে। ফয়সাল গোয়েন্দাদের জানায়, মার্কিন জেলে বন্দি এক পাকিস্তানী নারীর সঙ্গে সে কথা বলতে চায়। ওই নারী তার বোন। আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত অভিযোগে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে দোষী সাব্যস্তও হয়েছে। ওই নারীর আইনজীবীরা অবশ্য ফয়সালের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক মানতে চায়নি।

প্রায় দশঘণ্টা আলোচনার পর সিনাগগে ঢুকে পড়ে সন্ত্রাসদমন শাখার পুলিশ। তারা বন্দিদের উদ্ধার করে এবং ওই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘটনাটিকে সন্ত্রাসবাদী কাজ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তবে এফবিআই জানিয়েছে, এই ঘটনার পিছনে কোনো সংগঠনের হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে না। যদিও ম্যানচেস্টারে দুই কিশোরকে আটক করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তারা এই ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে কার হচ্ছে।

ঘটনায় একজনও পণবন্দির মৃত্যু হয়নি।

এসজি/জিএইচ (এপি, রয়টার্স)