1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টুরিঙ্গিয়া: জার্মানিতে করোনার বিরুদ্ধে প্রথম...

২৬ মে ২০২০

করোনা সংকটে এক ধরনের দোটানায় আছে জার্মানি৷ স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি থাকলে ভালো, নাকি পুরোপুরি তুলে দিলে? টুরিঙ্গিয়া রাজ্য ঝুঁকি নিয়েই দোটানা কাটানোর ঘোষণা দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3clTQ
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Schutt

জার্মানিতে লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে৷ দোকানপাট, রেস্তোরাঁ, স্কুল, গির্জা খুলেছে৷ ৫ জুন পর্যন্ত এ অবস্থা চলবে৷ তারপর ম্যার্কেল সরকার পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার অবস্থায় ফিরে যাওয়া ঠিক হবে কিনা৷

কিন্তু টুরিঙ্গিয়ার প্রধানমন্ত্রী বোডো রামেলো জানিয়েছেন, তার রাজ্যে আগামী ৬ জুন থেকে মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বাধ্যবাধকতা থাকবে না৷ বাম দলের এই নেতা বলেছেন, ‘‘এতদিন কড়া নিয়ম মেনে চলে আমরা যে সফল তা প্রমাণিত৷ এ সাফল্যই আমাদের বাস্তবানুগ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করতে বলছে৷’’ তার মতে, সাবেক পূর্ব জার্মানির অংশ ওই রাজ্যে এখন করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে, সুতরাং খুব কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আর দরকার নেই৷ অবশ্য কোনো এলাকায় পরিস্থিতির অবনতি হলে, সেখানে নতুন করে স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি৷

লকডাউন শিথিল করার পর থেকে জার্মানিতে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে৷ রেস্তোরাঁ এবং গির্জায় গিয়ে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন৷ আগামী গ্রীষ্মের ছুটিতে করোনা ভাইরাস আবার আঘাত হানতে পারে এবং সে আঘাত সামলানো জার্মানির জন্যও মুশকিল হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা৷

এই পরিস্থিতিতে বোডো রামেলোর ঘোষণা শুনে বিস্মিত অনেকে৷ এসপিডি দলের নেতা কার্ল লাউটারবাখ মনে করেন, টুরিঙ্গিয়া পুরোপুরি ভুল করছে৷ তার মতে, এতদিন নিয়ম কঠোরভাবে মানার সুফলই পেয়েছে জার্মানি, তাই অসময়ে উল্টো পথে চললে ফল ভয়াবহ হতে পারে৷

এমনিতে টুরিঙ্গিয়ায় করোনা পরিস্থিতি ভালো৷ খুব ছোট এবং খুব কম ঘনবসতির এ রাজ্যে এ পর্যন্ত মাত্র দু হাজার ৮৮২ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মারা গেছেন মাত্র ১৫৪ জন৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশি ভালো নয় বলে সেখানে পর্যটক খুব বেশি যায় না৷ ফলে লকডাউন পুরোপুরি তুলে দিলেও সেখানে এর প্রভাব খুব দ্রুত হয়ত নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে না৷ বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, টুরিঙ্গিয়ায় এক-চতুর্থাংশ মানুষের বয়স ৬৫ বছরের বেশি৷ বাইরে ঘোরাফেরা খুব কম করেন তারা৷ তাই সংক্রমিত হন কম এবং এ কারণে সেখানে মৃত্যুহারও কম৷

কেট ব্র্যাডি/ এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য