1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিভি চ্যানেল নিয়ে চীন-যুক্তরাজ্য তীব্র লড়াই

৯ মার্চ ২০২১

চীনের প্রচারমূলক টিভি চ্যানেলকে জরিমানা করল যুক্তরাজ্য। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অভিযোগ, তারা যুক্তরাজ্যের আইন ভেঙেছে।

https://p.dw.com/p/3qNNL
লাইসেন্স বাতিলের পরেও চীনা টিভি চ্যানেলকে জরিমানা করেছে অফকম।ছবি: Yui Mok/empics/picture alliance

চীনা স্যাটেলাইট চ্যানেল সিটিজিএনকে দুই লাখ ৬০ হাজার ইউরো জরিমানা করলো ব্রিটিশ রেগুলেটর অফকম। একমাস আগে এই চ্যানেলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল। এবার ব্রিটিশ নিয়ম না মেনে মোট ছয়টি অনুষ্ঠান দেখানোর জন্য ওই বিপুল অঙ্কের অর্থ জরিমানা করা হয়েছে।

এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি জরিমানা হয়েছে পিটার হামফ্রিকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য। পিটার অফকমের কাছে নালিশ করেছিলেন যে, একটি মামলায় জোর করে তার জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে সাংহাইতে দুর্নীতির মামলায় তার দুই বছর জেল হয়। সেটা নিয়েই চীনা চ্যানেল রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। চীনের এই চ্যানেলের মালিক হলো, স্টার চায়না মিডিয়া লিমিটেড। তারা সাধারণত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র হিসাবেই কাজ করে বলে অভিযোগ। অবশ্য তাদের যুক্তি ছিল, জনস্বার্থেই তারা ওই রিপোর্ট দেখিয়েছে।

অফকমের বক্তব্য, পিটারের অভিযোগ যাচাই না করে একপেশে রিপোর্টিং করা হয়েছে, যা তাদের নিয়ম ভঙ্গ করছে। সেজন্যই এক লাখ দশ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। আর ২০১৯ সালে পাঁচটি রিপোর্টের ক্ষেত্রে বিধি ভাঙার জন্য আরো এক লাখ ৫০ হাজার ইউরোর জরিমানা করা হয়েছে।

China   CGTN TV Sender
চীনের এই চ্যানেলের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাজ্য। ছবি: Leon Neal/Getty Images

গত মাসেই অফকম এই চ্যানেলের লাইসেন্স বাতিল করেছে, কারণ, তাদের অভিযোগ, এই চ্যানেলের মালিকানা কাঠামোও যুক্তরাজ্যের আইনের বিরোধী। নিয়মানুসারে তারপরেও আগে প্রচারিত হওয়া অনুষ্ঠানের জন্য তাদের জরিমানা হতে পারে।

চীনের পাল্টা

চীনও বিবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজকে সেদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। চীনের দাবি, বিসিসি তাদের দেশের বিধি ভেঙেছে। বিবিসি উইগুরদের নিয়ে যে রিপোর্ট করেছে, তা তাদের দেশের আইনের বিরোধী। চীনের নিয়ম হলো, রিপোর্ট সত্যের উপর ভিত্তি করে হতে হবে এবং নিরপেক্ষ হতে হবে।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)