টিগ্রে: যেখানে বিপন্ন মানুষ, বিধ্বস্ত গির্জা ও মসজিদ
ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনী এবং টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ)-এর যুদ্ধে ইরিত্রিয়ার হস্তক্ষেপে প্রতিদিন বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা৷ নারী, শিশুর ওপরও চলছে গুলি৷ হামলা হয়েছে উপাসনালয়ে৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
অ্প্রতুল চিকিৎসাসেবা
ইথিওপিয়ার টিগ্রে অঞ্চলে যু্দ্ধ চলছে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে৷ টিগ্রের রাজধানী মেকেলের এই হাসপাতালটিতে শত শত মানুষ এসেছে গুলিবিদ্ধ হয়ে৷ বোমা বিস্ফোরণের ক্ষত নিয়েও এসেছেন অনেকে৷ বিদ্যুৎ বিভ্রাট, অপ্রতুল ওষুধ এবংঅপর্যাপ্ত লোকবল নিয়েই চলছে চিকিৎসা৷
ভুলের কারণে রক্ষা
যুদ্ধে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ আহতের সংখ্যাও অনেক৷ ছবির এই ব্যক্তি গির্জা থেকে ফেরার সময় ইরিত্রিয়ার সেনাবাহিনীর হামলার শিকার হন৷ তিনি জানান, সেদিন অন্তত ৩০ জন পাদ্রিকে গুলি করা হয়েছে৷ তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত ভেবে সেনা সদস্যরা চলে না গেলে সেদিন মৃত্যু অবধারিত ছিল বলেও জানালেন তিনি৷
শিশুরও রেহাই নেই
শিশুদের ওপরও চলছে গুলিবর্ষণ৷ মেকেলের হাসপাতালে যুদ্ধাহত শিশুদের চিকিৎসাও চলছে৷
রাজধানীবাসীর ‘সৌভাগ্য’
টিগ্রের রাজধানী মেকেলেতে এখনো কোনো হামলা হয়নি৷ ফলে সেখানে আতঙ্ক থাকলেও জনজীবন কিছুটা স্বাভাবিক বলেই জানা গেছে৷
গৃহহীনদের দুর্গতি
যুদ্ধের কারণে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া৷ তাদের কারো আশ্রয় মিলেছে স্কুলে, কারো বা স্বগোত্রীয়দের ঘরে৷ কারো আবার কোনো আশ্রয়ই জোটেনি৷ রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নীচেই দিন কাটছে তাদের৷
নেই আহার, নিদ্রার ব্যবস্থা
যুদ্ধের কারণে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া৷ তাদের কারো আশ্রয় মিলেছে স্কুলে, কারো বা স্বগোত্রীয়দের ঘরে৷ কারো আবার কোনো আশ্রয়ই জোটেনি৷ রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নীচেই দিন কাটছে তাদের৷
হামলার শিকার গির্জা
ছবির এই প্রবীণ একজন পাদ্রী৷ পরিবার-পরিজনকে নিয়ে টানা একমাস হেঁটে টিগ্রের রাজধানী মেকেলে শহরে পৌঁছেছেন তিনি৷ নিজের এক আত্মীয়কে রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মরতে দেখা এই পাদ্রী জানান, তার এলাকায় একটা গির্জাকে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে৷ তার মতে, ‘‘ইরিত্রিয়ার সেনাবাহিনী ধর্মবিশ্বাসের বিরুদ্ধে৷ তাই তারা সচেতনভাবেই গির্জায় হামলা চালায়৷’’
একজন মাহলেট
অভিযোগ রয়েছে, ঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়া মানুষদের জন্য ইথিওপিয়া সরকার পর্যাপ্ত খাদ্য এবং চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে না৷ শুরুর দিকে বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি৷ তখন থেকেই আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত মাহলেট৷ সরকারের নিষ্ক্রিয়তা দেখে হতবাক এই স্বেচ্ছাসেবী সীমিত সামর্থ্য নিয়েই দাঁড়াচ্ছেন যুদ্ধের শিকার অসহায় মানুষদের পাশে৷
হামলার চিহ্ন
ডেঙ্গোলাট গ্রাম এখন জনশূন্য৷ ইরিত্রিয়ার সেনাবাহিনীর গুলিতে অনন্ত ১৫০ জনের মৃত্যু হয় সেখানে৷ খ্রিস্টানরা যখন সেন্ট মেরি দিবস উদযাপনে ব্যস্ত, ঠিক তখনই শুরু হয় হামলা৷
গণকবর
মারিয়াম ডেঙ্গোলাট গির্জার বাইরে দীর্ঘ সময় পড়ে ছিল শতাধিক মৃতদেহ৷ মৃতদেহ উদ্ধার করতে যাওয়া ব্যক্তিদেরও গুলি করে হত্যা করা হয়৷ গির্জার আশপাশেই গণকবরে অন্তিম ঠাঁই হয়েছে তাদের৷
হামলার শিকার মসজিদ
যুদ্ধ চলার সময় এই মসজিদেও হামলা হয়৷ ইথিওপিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন এই মসজিদে চালানো হয় লুটপাট৷ সরকার অবশ্য মসজিদ মেরামতের আশ্বাস দিয়েছে৷
ধর্ষণ
অনেক নারীকে দল বেঁধে ধর্ষণ করেছে ইরিত্রিয়ার সেনাবাহিনি৷ এক নারীকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ করার অভিযোগও উঠেছে৷