টিকাদানে বাংলাদেশের সাফল্য, ‘ভ্যাক্সিন হিরো’ শেখ হাসিনা
জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে জাতিসংঘের দেয়া লক্ষমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ৷ যেমন, শিশুদের টিকাদান প্রকল্পে বাংলাদেশের সাফল্য প্রশংসিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী৷
‘ভ্যাক্সিন হিরো’ শেখ হাসিনা
শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সফলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাক্সিনেশন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন-এর পক্ষ থেকে ‘ভ্যাক্সিন হিরো’ উপাধি দেয়া হয়৷
নিয়মিত প্রচেষ্টা
পোলিও রোগের কথাই ধরা যাক৷ শিশুদের পোলিও নির্মূলে সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের নাম উদাহরণ হিসেবে সারা বিশ্বে উচ্চারিত হয়৷ আর এ সাফল্যের পেছনে রয়েছে নিয়মিতভাবে, অর্থাৎ টিকা প্রদান কর্মসূচির ধারাবাহিকতা৷
কৌশলগত পদক্ষেপ
টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের পেছনে সরকারের কৌশলগত পদক্ষেপের ভূমিকাও কম নয়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাংলাদেশ টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে ‘‘চিন্তা করেছে আন্তর্জাতিকভাবে আর কাজ করেছে স্থানীয়ভাবে৷’’ এ কৌশলের অংশ হিসেবে সারা দেশে মাঠ পর্যায়ে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার প্রশিক্ষিত কর্মী৷
প্রশংসা গণমাধ্যমেরও প্রাপ্য
গণমাধ্যমের ভূমিকাও কম নয়৷ ১৯৭৯ সালে শুরু হওয়া টিকাদান কর্মসূচির সফলতার একটি বড় কারণ ছিল সঠিকভাবে গণমাধ্যমকে কাজে লাগানো, যার মধ্য দিয়ে অভিবাবকদের তথ্য প্রদান ও সচেতন করে তোলা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷
তীক্ষ্ম নজরদারি
শুধু টিকা দিয়েই থেমে থাকেনি সরকার৷ এ সময়ের মধ্যে নতুন কেউ আক্রান্ত হলো কিনা আর টিকা কতটা কার্যকর হয়েছে তা-ও ছিল সরকারের নজরদারিতে৷
এলো সফলতা
দীর্ঘ সময়ের আন্তরিক চেষ্টার পর সফল হয় বাংলাদেশ৷ ২০১৪ সালে বাংলাদেশকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১১তম পোলিওমুক্ত দেশ ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
আরআর/এসিবি (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিডিনিউজ টোয়োন্টিফোর ডটকম)