1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিউনিশিয়ায় নিকাব নিষিদ্ধ

৮ জুলাই ২০১৯

সরকারি অফিসে নিকাব পড়া নিষিদ্ধ করেছে টিউনিশিয়া৷ উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে বেশ কিছু সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত নেয়ার ঘোষণা দেন৷

https://p.dw.com/p/3LkZi
টিউনিশিয়ার সরকারের আশঙ্কা, ছদ্মবেশ ধারণ করে বিচারের হাত থেকে বাঁচতে অনেকে নিকাব ব্যবহার করতে পারে৷ছবি: Reuters/S. Wermuth

টিউনিস প্রধানমন্ত্রী ইউসেফ চাহেদ শুক্রবার এই সরকারি বিবৃতিতে সাক্ষর করেন৷ বিবৃতিতে ‘‘মুখ ঢাকা কোনো ধরনের পোশাক পড়ে সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে'' নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে৷ মুসলিম নারীদের বিশেষ এক ধরনের পোশাক নিকাব, যাতে শুধু চোখ ছাড়া বাকি পুরো মুখ ঢাকা থাকে৷

২৭ জুন দুটি আত্মঘাতি বোমা হামলায় দুজন মারা যান এবং আরো বেশ কয়েকজন আহত হন৷ এর পরপরই এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এলো৷ আর আগে গত বছরের অক্টোবরে রাজধানী টিউনিসের পাশে মুখ ঢাকা এক নারীর আত্মঘাতি হামলায় পুলিশ সদস্যসহ অনেকে আহত হন৷

দেশটির সরকার আশঙ্কা করছে, অনেকেই ছদ্মবেশ ধারণ করে বিচারের হাত থেকে বাঁচতে এ ধরনের পর্দা ব্যবহার করতে পারে৷

তবে নিকাব নিষিদ্ধের এ সিদ্ধান্তটিতে রাজধানী টিউনিসে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে৷ কেউ কেউ সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রয়েছে বললেও অনেকে এমন সিদ্ধান্তকে দেখছেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে৷

দেশটির লিগ ফর দ্য ডিফেন্স অফ হিউম্যান রাইটস অবশ্য বলছে, এটি একটি সাময়িক ব্যবস্থা৷ সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট জামেল এমসালেম জানিয়েছেন, ‘‘পোশাকে ব্যক্তিগত পছন্দের পক্ষে আমরা৷ কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে এবং জঙ্গি হামলার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এ সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক মনে করছি৷''

কয়েক দশক ধরে স্বৈরশাসক জাইন আল আবেদীন বেন আলীর শাসনামলে প্রকাশ্য়ে কোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক পড়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ ছিল৷ ২০১১ সালে এক গণঅভ্যূত্থানে তার পতনের পর প্রকাশ্যে হিজাব ও নেকাব পড়ার অনুমতি পান টিউনিশিয়ার নারীরা৷

কিন্তু এখন বিভিন্ন হামলায় মুখ ঢাকা পোশাক পড়া নারীরে জড়িত থাকার অভিযোগের মধ্যে আবার জোরেশোরে উঠতে শুরু করেছে এমন দাবি৷

এডিকে/কেএম (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান