1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিউনিশিয়ার জুঁই ফুলের বিপ্লব ছড়াচ্ছে মিশর, ইয়েমেনে

২৮ জানুয়ারি ২০১১

টিউনিশিয়ায় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ অব্যাহত৷ মিশরও উত্তাল, এবং ইয়েমেন টালমাটাল৷ ঘটনাচক্র এতো দ্রুত ঘুরে চলেছে যে, আগামীতে কী হবে তা’ বলা শক্ত৷

https://p.dw.com/p/106Jr
টিউনিশিয়া, জুঁই, ফুল, বিপ্লব, মিশর, ইয়েমেন, Demonstration, Saleh, Protest, yemen, Egypt, Tunisia, Politics, Democracy,
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুয়েজে বিক্ষোভছবি: ap

শুক্রবারের নমাজের পর মিশরে বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা৷ বিরোধীরা চতুর্থ দিনেও প্রতিবাদ চালিয়ে যাবার পরিকল্পনা করছেন৷ মুখ্য বিরোধী নেতা, শান্তি নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী মোহামেদ এলবারাদেই ভিয়েনা থেকে কায়রো পৌঁছেছেন এবং বলেছেন, তিনিও নাকি বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করবেন৷

সরকারের প্রতিক্রিয়া: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘‘চূড়ান্ত পদক্ষেপ'' নেওয়ার হুমকি দিয়েছে৷ ইন্টারনেট এবং এসএমএস পাঠানো ব্যাপকভাবে ব্যাহত৷ নয়তো কায়রোয় পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী যতোই চেপে বসুক না কেন, বিক্ষোভ ছড়িয়েছে সুয়েজ, ইসমাইলিয়া এবং সাইনাই'এর অপর একটি শহরে৷

এলবারাদেই ভিয়েনাতেই বলেছেন, তিনি একটি মধ্যকালীন সরকারে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত৷ কিন্তু সে এক অজানা, অদেখা ভবিষ্যতের স্বপ্ন৷ মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক তাঁর দীর্ঘ তিন দশকের শাসনকালে এ'টুকু অন্তত প্রমাণ করেছেন যে, তাঁর মর্জি ছাড়া মিশরে ভালো, মন্দ কিছুই ঘটতে পারে না৷ এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ‘‘সহিংসতা কোনো সমাধান নয়'' বলে বহুদিনের মিত্র'র উপর চাপ বৃদ্ধি করলেও নয়৷ অথচ ঝানু মুবারক যে সেটা বোঝেন না, এমন নয়৷ তাই মিশরের কর্তৃপক্ষ নাকি এবার দেশের যুব সমাজের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন৷

ওদিকে ‘জুঁই ফুলের বিপ্লব'-এর দেশ টিউনিশিয়ায় রাস্তার চাপে রাজপ্রাসাদের টনক নড়ছে৷ প্রধানমন্ত্রী মোহামেদ ঘানুশি ১২ জন মন্ত্রীকে বিদায় দিচ্ছেন, কেননা তারা সাবেক শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত৷ অবশ্য ঘানুশি নিজে বজায় থাকছেন৷ এবং তাঁর বজায় থাকার সম্ভাবনা বেড়েছে, কেননা ইউজিটিটি নামের একটি মুখ্য শ্রমিক সংগঠন বলেছে যে, তারা নতুন সরকারে যোগ না দিলেও, তাকে সমর্থন করবে৷ অপরদিকে জনতা এখনও ঘানুশি'র বিদায় দেখতে চায়৷

Flash Jemen Proteste gegen Saleh Salih
বৃহস্পতিবার সানায় প্রেসিডেন্ট সালেহ’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভছবি: AP

ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহ'ও তো ১৯৭৮ সাল যাবৎ ক্ষমতায় কায়েম৷ বৃহস্পতিবার হাজার হাজার ইয়েমেনি তাঁর পদত্যাগের ডাক দিয়েছে৷ এবং ইয়েমেনে ওরা সত্যিই অক্ষরে অক্ষরে টিউনিশিয়ার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করার চেষ্টা করছে৷ বুধবার নাকি এক ২৮ বছর বয়সের যুবা এডেন বন্দর-নগরীতে নিজের গায়ে আগুন ধরায়৷ এবং ইয়েমেনে এ'ধরণের অগ্নিতে আত্মাহুতি দিয়ে প্রতিবাদের ঘটনা আরো ঘটেছে৷ তবে মূল কথা হল, রাজধানী সানা'র অন্তত চারটি এলাকায় বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়৷ এবং এযাবৎ সরকারের তরফ থেকে সেখানে পুলিশ কি নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ বাড়াবাড়ি দেখা যায়নি৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য