1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টাকা নিলেন শিক্ষক, দায় দিলেন কর্মচারীকে

১৮ নভেম্বর ২০২১

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে কর্মচারীর ওপর দায় চাপিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/438Z1
প্রতীকী ছবিছবি: DW

বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি হাসিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে রেজিস্টারকে চিঠি দিয়েছেন বিভাগের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আবু সাঈদ৷

আবু সাঈদ চিঠিতে দাবি করেছেন, হাসিবুর রহমান স্বাক্ষরিত চেক দিয়ে, তার নির্দেশে, অগ্রণী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখা থেকে দুই লাখ ৫০ পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে তাকে দেন সাঈদ৷

সাঈদ বলেন ‘‘কিন্তু টাকাটা আমি নিয়েছি এই মর্মে সভাপতি আমাকে দায় স্বীকার করতে চাপ দেন৷ আমাকে চাকরিচ্যুত করার ভয় দেখান সভাপতি৷ ফলে প্রথমে আমি দায় স্বীকার করি৷''

ব্যাংকে পরে ওই টাকা ফেরত দেওয়া হয়  কিন্তু ঘটনার দায় নিয়ে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছেন সাঈদ৷ তিনি অবশেষে গত ৮ নভেম্বর রেজিস্টার বরাবর চিঠি দিয়ে ন্যায় বিচার চেয়েছেন৷ এই একই অভিযোগে ওই বিভাগের ডেটা এনট্রি অপারেটর রাসেল মিয়া আরেকটি চিঠি দিয়েছেন রেজিস্টারের কাছে৷ রাসেলের অভিযোগ, চেকে তার নাম ব্যবহার করে একই ব্যাংক থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার  টাকা তোলা হয়েছে৷

তিনি বলেন, ‘‘এ ঘটনায় বিভাগ থেকে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে৷ মানহানিকর অবস্থার মধ্যে ফেলা হচ্ছে ৷'' এই চেকেও বিভাগের সমভাপতি হাসিবুর রহমানের স্বাক্ষর রয়েছে বলে রাসেলের দাবি৷ তবে হাসিবুর রহমান টাকা তোলেননি বলে দাবি করে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷

তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা জানিয়ে হাসিবুর বলেন,  আমি কোনো টাকা তুলিনি বা কাউকে তুলতে বলিনি৷ আমি অফিস সহকারীকে কোনোরূপ ভয়ভীতি প্রদর্শন করিনি৷''

হাসিবুর ব্যাংক থেকে টাকা তোলা নিয়ে বলেন, "চেক জালিয়াতির মাধ্যমে  টাকা তোলা হয়৷ তবে পরে উত্তোলনকারী টাকা ফেরত দেন ৷'' উত্তোলনকারীর নাম তিনি জানাতে পারেননি ৷

প্রক্টর রাজিউর রহমানকে প্রধান করে কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে৷ এ নিয়ে প্রক্টর বলেন, ‘‘তদন্ত কমিটি কাজ শেষ করেছে৷ কিন্তু পরে নতুন একটি চিঠি সামনে আসায় বিষয়টি নিয়ে পুনরায় তদন্ত করা হবে ৷''

ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে চিঠি পর্যালোচনা করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন ৷

 

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য