টাইফুন গনির আঘাতে তছনছ ফিলিপাইনস
বছরের সবচেয়ে বিধ্বংসী টাইফুন গনির আঘাত কীভাবে সামলাচ্ছে ফিলিপাইনস, দেখুন ছবিঘরে...
বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন
চলতি বছরে সারা বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বংসী টাইফুন গনি রোববার আছড়ে পড়লো ফিলিপাইনসের পূর্বাঞ্চলের ক্যাটানডুয়ানেস দ্বীপে৷ ‘ক্যাটাগরি ৫’ মাত্রার এই ঘূর্ণিঝড় সাথে এনেছে প্রবল বৃষ্টি ও বিপজ্জনক বেগে চলা হাওয়া, জানাচ্ছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর৷
কখন ও কোথায়
স্থানীয় সময় রোববার ভোররাতে ক্যাটানডুয়ানেস দ্বীপে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২৫ কিলোমিটার (১৪০ মাইল) গতিবেগে টাইফুনটি আঘাত হানে ও পশ্চিমের দিকে ঘুরে যায়৷ বিশেষজ্ঞরা আঁচ করছেন, এরপর টাইফুনটি হয়তো রাজধানী ম্যানিলাসহ ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে৷ এর আগে, গত সপ্তাহেই সেখানে আরেকটি টাইফুনে প্রাণ হারিয়েছেন ২২জন৷
ক্ষয়ক্ষতি
ঘুর্ণিঝড় গনির যাত্রাপথ থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় দশ লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ বন্ধ রাখা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও৷ আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, ‘‘আগামী বারো ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া ও প্রবল বৃষ্টিপাতের লক্ষণ রয়েছে, যা ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র কাছে আসার সাথে সাথে গুরুতর হবে৷’’ এখন পর্যন্ত ১৬জনের মৃত্যু হয়েছে, জানাচ্ছে ডিপিএ৷ রয়টার্স জানাচ্ছে, ক্যাটানডুয়ানেস দ্বীপের ৯০ শতাংশ অবকাঠামো তছনছ হয়েছে৷
টাইফুনে অভ্যস্ত ফিলিপাইনস
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ফিলিপাইনসে ঘূর্ণিঝড় একটি নিয়মিত বাস্তবতা৷ গনির আগের সবচেয়ে বিধ্বংসী টাইফুন হাইয়ান ২০১৩ সালে ফিলিপাইনসের ছয় হাজার ৩০০টি প্রাণ কেড়ে নেয়৷ এছাড়া, প্রায় প্রতি বছরই ঝড়ের কারণে দেশটির বিভিন্ন আগ্নেয়গিরি থেকে গরম লাভা কাদায় মিশে বসতিপূর্ণ এলাকায় এসে পড়ে, যা এবারও হবার সম্ভাবনা রয়েছে৷
করোনা সংকটের মাঝেই টাইফুন গনি
সেনেটর ক্রিস্টোফার গো জানান, ঘূর্ণিঝড় গনি করোনা মোকাবিলায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে৷ জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিচালক রিকার্দো জালাদ জানান যে, ম্যানিলা ও বুলাকান অঞ্চলের মোট এক হাজার করোনা-আক্রান্তরা বর্তমানে বড় বড় তাঁবুতে রয়েছেন৷ তবে শিগগিরই তাদের কোনো হোটেল বা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে৷ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ফিলিপাইনসেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কোভিড সংক্রমণ ও মৃত্যু৷
সামনে আরেক বিপদ
টাইফুন গনির রেশ কাটতে না কাটতেই সামনে আরো বিপদ৷ আরেকটি টাইফুন ‘আটসানি’ ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় বেগের ঝোড়ো বাতাস ও ৭০ কিলোমিটার প্রতিঘন্টা বেগের ঢেউ নিয়ে ফিলিপাইনসের বাইরে জমাট বাঁধছে৷