টাইগারদের প্রতিশোধের জয়, গতির জয়
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১শুরুতেই পঞ্চাশ
সত্যি কথা বলতে, বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা দেখে প্রত্যাশার পারদ অনেক উপরে উঠে গিয়েছিল৷ মনে হচ্ছিল, আগের ম্যাচে ভারতের করা রেকর্ড ৩৭০ রানও বুঝি টপকে যাবে স্বাগতিকরা৷ কেননা, প্রথম ছয় ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ৫১ রান৷
ছিয়াশিতেই বিদায় চার নায়কের!
চমৎকার শুরুর খানিক পরেই টাইগারদের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা একের পর এক উইকেট বিসর্জন দিতে শুরু করেন৷ কেউ হেলেদুলে রান আউট, কেউ বোকার মতো ক্যাচ আউট৷ ব্যক্তিগত ৪৪ রানের মাথায় তামিম ইকবাল সহজ ক্যাচ তুলে দেন পোর্টারফিল্ড এর হাতে৷ অন্যদিকে সাকিব আল-হাসান একবার জীবন ফিরে পেয়েও পরের ওভারেই সহজ ক্যাচ তুলে দেন বোলার আন্দ্রে বোথার এর হাতেই৷ তাঁর সংগ্রহ তখন ১৬ রান৷ ফলে বাংলাদেশ ৫০ থেকে ৮৬ অবধি যেতেই হারায় চার-চারটি উইকেট৷ এরপরও অবশ্য মুশফিক-রাকিবদের চেষ্টায় ২০৫ রান পর্যন্ত করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ৷
স্পিন নাকি গতির জয়?
গত ক'দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছিল, আইরিশদের বিরুদ্ধে ঘূর্ণি জাদু দেখাবে বাংলাদেশ৷ কিন্তু বাস্তবে হলো উল্টোটা, বাংলাদেশের জয়ে মূল ভূমিকা রাখলেন পেসার সফিউল ইসলাম৷ মাত্র ২১ রানের বিনিময়ে আয়ারল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ চারটি উইকেট তুলে নেন তিনি৷ এতকালের ব্যাটসম্যান আশরাফুলকে দেখা গেল বোলারের রূপে৷ হাত ঘুরিয়ে তিনিও তুলে নেন আইরিশদের দু'টি উইকেট৷ এর মধ্যে একজন আবার সেদলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান, এডমান্ড জয়েস৷ এভাবেই গত বিশ্বকাপের শোধ তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ৷ আইরিশদের ১৭৮ রানে বেঁধে ফেলে জয় ছিনিয়ে নেয় টাইগাররা৷
দুই ভাইয়ের চেষ্টা
আইরিশ বোলার আন্দ্রে বোথার স্লো মিডিয়ামের ফাঁদে পা দেন তামিম, সাকিব, সফিউল৷ এছাড়া আইরিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নিয়াল ও'ব্রায়েন তোলেন ৩৮ রান এবং তাঁরই ভাই কেভিন ও'ব্রায়েনের সংগ্রহ ৩৭৷ বলা বাহুল্য, এই দুই ভাইয়ের চেষ্টা টাইগারদের জয়কে দীর্ঘায়িত করেছিল মাত্র৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী