‘টক শো হিন্দি সিরিয়ালের মতো'
৩১ অক্টোবর ২০১৩কিন্তু এসব টক শো থেকে কি ফল পাওয়া যাচ্ছে? বিষয়টি নিয়ে সামহয়্যার ইন ব্লগে এ আর রানা একটি পোস্ট দিয়েছেন যার শিরোনাম, ‘‘প্রতিদিনের জমকালো অনুষ্ঠান টক শো৷'' তিনি লিখেছেন, টক শোগুলো তার কাছে হিন্দি সিরিয়ালের মতো মনে হয়৷ কিন্তু তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এত সমস্যার সমাধান কি গল্প আর তর্ক করে হয়? কোনো দল কি তাদের কথাগুলা আমলে নেয়?
‘‘দেশ এখন চিন্তায় আছে দুই নেত্রীর ফোনালাপ নিয়া৷ কেন আমরা এত পিছে পড়ে আছি, সেদিকে কাহারো লক্ষ্য নাই৷ আমরা শুধু কথায় বড়, কাজে নয়৷... সবাই দেশের উন্নতি করেছেন বলে দাবি করেন, কিন্তু আজও ৬৪ জেলার মানুষের দুঃখ দূর হয়েছে কি? আজও দেশের সরকারি কাজগুলো টাকা ছাড়া হয় না৷ এমপি মন্ত্রীদের লোকের কথায় প্রশাসন উঠে বসে৷ কি হয়েছে ৭১ এর পর৷ আমাদের ছোট এই দেশটাকে আজও আমরা গড়তে পারি নি৷ আজও রাজাকার কথা কয় তেজস্বী সুরে৷ আর যাঁদের রক্তে গড়া বাংলাদেশ তাঁরা মরে অনাহারে৷ সত্যিই অবাক লাগে, আমরা কেমন মানুষ কেমন বাঙালি৷''
এসব বলার পরই এ আর রানা লিখেছেন, ‘‘আমার কথাগুলোওতো টক শো'র মতোই৷ যে কথার ভিত্তি নাই৷ শুধুই বাতাস ভারি করা৷ আমার চোখের সামনেই তো এক মুক্তিযোদ্ধা চা বিক্রি করে৷ সরকারি ভাতা পায় ঠিক৷ কিন্তু তার সেই আত্মত্যাগ কি এই? বাতাস ভারি করার চাইতে সুচিন্তা করার প্রয়োজন অনেক৷ ভাল লাগে আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতির ব্যবহার, চিন্তা আর দেশ ও দেশের মানুষের ভাবনার কথা৷ ভাল লাগে যখন দেখেছি যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ববোধ প্রকাশ পাওয়া, ছুটে চলা সমস্যার স্থানে৷ তখনি ভাবতে ভাল লাগে প্রতিটি রাজনীতিবিদ এমন হবে৷''
টক শো নিয়ে আমারব্লগে পোস্ট দিয়েছেন আরেক ব্লগার জায়েদ৷ অবশ্য সেটা লেখা হয়েছিল জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরদিন ১৯ অক্টোবর৷ তিনি লিখেছেন, ভাষণের উপর তিনি একটি টক শো দেখেছেন৷ তারপর তার আশা, ‘‘টক শো'তে বুদ্ধিজীবীগণ দায়িত্বশীল বিশ্লেষণ করবেন, যা সংকট নিরসনের পথ দেখাবে৷''
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদন: সঞ্জীব বর্মন