1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
প্রযুক্তিযুক্তরাজ্য

জ্বালানির আরেক উৎস ভাসমান উইন্ড টারবাইন

১১ জুলাই ২০২৩

সমতল ভূমি ছাড়াও উইন্ড টারবাইন সাগর উপকূলের কাছে অগভীর পানিতে স্থাপন করা হয়৷ তবে উপকূল থেকে দূরে সাগরের বুকে বাতাসের শক্তি আরো বেশি থাকে৷

https://p.dw.com/p/4TilZ
টারবাইনকে পানির উপর ভাসিয়ে রাখাই একমাত্র চ্যালেঞ্জ নয়
টারবাইনকে পানির উপর ভাসিয়ে রাখাই একমাত্র চ্যালেঞ্জ নয়ছবি: Siemens Gamesa

ভাসমান উইন্ড টারবাইন ব্যবহার করে সেখানে বিদ্যুৎউৎপাদন করা যায়৷ তবে এমন টারবাইন স্থাপনের কাজ এখনো ব্যয়বহুল৷

ভেসে থাকার জন্য টারবাইনের নীচে বিশাল অবকাঠামো তৈরি করা হয়, যা দুই থেকে আট হাজার টন ভার বহন করতে পারে৷

বিষয়টা অনেকটা জাহাজের মতো৷ কাঠামোর মধ্যে থাকা বাতাস এবং আকারের কারণে জাহাজ তার ওজনের চেয়ে বেশি পানি সরাতে পারে৷ এই পানি জাহাজকে উপরের দিকে ঠেলায় জাহাজ ভেসে থাকে৷

তবে টারবাইনকে পানির উপর ভাসিয়ে রাখাই একমাত্র চ্যালেঞ্জ নয়৷ আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে: পুরো জিনিসটা যেন উলটে না যায়, সেটি নিশ্চিত করা৷

প্রিন্সিপাল পাওয়ার কোম্পানি এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে৷ পুরো অবকাঠামো স্থিতিশীল রাখতে তিনটি স্তম্ভের প্রস্থ একেকটির একেকরকম হয়৷ এছাড়া ভারসাম্য রাখার আরেকটি কৌশলও আছে৷ কোম্পানির কর্মকর্তা অ্যারন স্মিথ জানান তারা ‘হাল ট্রিম সিস্টেম' ব্যবহার করেন৷ ‘‘এই পদ্ধতির কারণে স্তম্ভ তিনটির মধ্যে পানি চলাচল করতে পারে- যা টারবাইনের পাখা থেকে উৎপন্ন শক্তির চাপ কমাতে পারে৷ ফলে প্ল্যাটফর্মটির অভিকর্ষ কেন্দ্র ভার্টিক্যাল অবস্থায় থাকে৷ এভাবে আমরা অবকাঠামোটি খাড়া রাখি, যা জ্বালানির সর্বোচ্চ উৎপাদন সম্ভব করে,'' বলে জানান তিনি৷

এই কৌশলের কারণে অবকাঠামোটি ১৫ মিটার উঁচু ঢেউ এবং হ্যারিকেনের মতো শক্তির মধ্যেও স্থিতিশীল থাকতে পারে৷

‘হাইউইন্ড স্কটল্যান্ডের' পাঁচটি টারবাইন ৩৪ হাজার ঘরের চাহিদার সমান জ্বালানি উৎপাদন করে৷ এই পার্কের উৎপাদনক্ষমতা ৫৪ শতাংশ৷ তুলনার জন্য বলা যেতে পারে যে, ২০১৮ সালে অফশোর উইন্ড টারবাইনগুলোর বৈশ্বিক গড় উৎপাদনক্ষমতা ছিল ৩৩ শতাংশ৷

২০২৩ সালের শুরুতে বিশ্বে ১২টি ভাসমান উইন্ডপার্ক ছিল৷ এগুলোর উৎপাদনক্ষমতা ১৯৯ মেগাওয়াট, যা খুবই কম৷ তবে ইউরোপ, অ্যামেরিকা ও পূর্ব এশিয়ায় সাগরের পানিতে বড় বড় পার্ক তৈরির কাজ চলছে৷

বর্তমানে সাগরের তলে আটকে থাকা উইন্ড টারবাইনের তুলনায় ভাসমান টারবাইন তৈরিতে দ্বিগুণ খরচ হচ্ছে৷ অর্থাৎ দক্ষতা বেশি হলেও এটি স্থাপন করা ব্যয়বহুল৷ খরচের ৫০ শতাংশ ব্যয় হয় টারবাইন ও অবকাঠামো নির্মাণে৷ বাকিটা পরিচালন ব্যয়৷

তবে বেশি করে টারবাইন বসানো শুরু হলে খরচ কমে আসতে পারে বলে মনে করেন অ্যারন স্মিথ৷ তিনি বলেন, ‘‘শিগগিরই যে খাতে খরচ কমতে পারে বলে আমরা দেখতে পাচ্ছি সেটা হচ্ছে, পাঁচটি টারবাইনের প্রকল্পের জন্য আমরা যে পরিমাণ ইঞ্জিনিয়ারিং করছি, তা ১০০টি টারবাইনের প্রকল্পের জন্য করা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সমান৷''

ভাসমান উইন্ড টারবাইন হার্বার বা পোতাশ্রয়েও বসানো যায়৷ শুধু জাহাজে করে তাকে টেনে নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে বসাতে হবে৷

কাই স্টাইনএকে/জেডএইচ