1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘জ্ঞানের চেয়ে কি গ্রেড বড়!'

১৮ অক্টোবর ২০১৩

‘দেখ বাপু, এ দেশে জ্ঞান অর্জনের চেয়ে গ্রেড অর্জনই বড়, সুতরাং, পুরো বই মুখস্ত করে হাফেজ হয়ে যা৷' এক তরুণ ব্লগার মনে করেন এভাবে লেখাপড়া করানো হয় বলে, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমেই প্রতিভা ধ্বংসের কারখানায় পরিণত হচ্ছে৷'

https://p.dw.com/p/1A24l
Tunisians sit as they read a book in the Avenue Habib Bourguiba for a day of reading on April 18, 2012 or other places like cafes or park of Tunis. Tunisian people want to show to governement by reading in many places of the city that without demonstrating or demanding something they can change the world, as organizers said that "those who will change the world are those who read." AFP PHOTO/ FETHI BELAID (Photo credit should read FETHI BELAID/AFP/Getty Images)
ছবি: Fethi Belaid/AFP/Getty Images

আমারব্লগে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং অধিকাংশ শিক্ষকের সমালোচনা করে এমন মতই প্রকাশ করেছেন ইমাম উদ্দীন চৌধুরী৷ ‘জ্ঞান অর্জনের চেয়ে গ্রেড অর্জনই কি বড়'- শিরোনামের লেখাটিতে তিনি নিজের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তিও উপস্থাপন করেছেন৷ তাঁর মতে, ভালো চাকরির নিশ্চয়তা পাওয়ার জন্য পরীক্ষায় ভালো গ্রেড পাওয়া জরুরি৷ আর ভালো গ্রেড প্রাপ্তির আশাতেই বই মুখস্ত, নোট মুখস্ত করে করে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষ করে শিক্ষার্থীরা৷ নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে ইমাম উদ্দীন চৌধুরী লিখেছেন, ‘সেমিস্টার শেষে সবাই জিজ্ঞেস করে, কিরে, সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা কেমন দিলি? রেজাল্ট কবে দেবে? গ্রেড কত পাবি? অথচ আজ পর্যন্ত কাউকে জিজ্ঞেস করতে দেখলামনা যে, কিরে সেমিস্টার শেষে কী কী শিখলি? কী কী জানলি? কী কী বুঝলি? কী কী জ্ঞান অর্জন করলি? আসলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এ ধরনের প্রশ্ন করার কোনো সুযোগই রাখেনি, কেননা, এখানে জ্ঞান অর্জনের চেয়ে গ্রেড অর্জনকেই বড় চোখে দেখা হয়৷ এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে ঘুসের মাধ্যমে অযোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে৷ ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমেই প্রতিভা ধ্বংসের কারখানায় পরিণত হচ্ছে৷ কেননা এ জাতীয় শিক্ষকদের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্য হলো, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শিক্ষাদান করে তার (চাকরি পাওয়ার জন্য দেয়া) ঘুসের টাকা উদ্ধার করা৷ যিনি নিজ পকেট থেকে ৩-৪ লক্ষ টাকা খরচ করে শিক্ষকতার চাকরিটা জুটিয়েছেন, তিনি কোন দুঃখে সৎভাবে পড়াবেন!!''

‘‘শিক্ষকদের বদনাম করার জন্য এসব বলছিনা৷ শিক্ষকদের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে''- এমন দাবিও করেছেন ইমাম৷ এখনো যাঁরা সৎভাবে শিক্ষকতা করছেন তাঁদের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন,‘‘ আমার দেখা এবং জানামতে এমন অনেক শিক্ষক আছেন যাঁদের গুণের কথা বর্ণনা করার জন্য কর্ণফুলি পেপার মিলের পাশে একটা কলম তৈরির কারখানা স্থাপন করে সেখান থেকে কলম এবং মিল থেকে কাগজ নিয়ে অনবরত লিখতে থাকলেও শেষ করা যাবেনা৷ আমি সেই সমস্ত ফেরেস্তা সমতুল্য শিক্ষকদের জানাই হাজার সালাম৷''

তবে নাতিদীর্ঘ লেখার শেষ অংশে রয়েছে ‘বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শিক্ষাদান করেন'' এমন শিক্ষকদের প্রতি ধিক্কার৷ হতাশ ব্লগার তাঁর লেখা শেষ করেছেন প্রশ্ন দিয়ে, সেখানে পাঠকের কাছেই জানতে চেয়েছেন, ‘‘তবে কি আমরা এই সিস্টেম থেকে কোনোদিন বের হতে পারবনা? এভাবেই কি চলবে সব??

কখন আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মূলনীতি হবে, গ্রেড অর্জনের চেয়ে জ্ঞান অর্জনই বড়???''

সংকলন : আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা : জাহিদুল হক