1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্যানারিতে জোরপূর্বক কাজ করানো বন্ধের আহ্বান

২৭ জুন ২০১৭

নাইকি এবং পুমাসহ বিশ্বখ্যাত জুতার ব্র্যান্ড এবং ডিজাইনার ক্লোদিং লেবেলগুলো জোরপূর্বক কাজ করানো বন্ধে অনেকটাই এগিয়েছে৷ তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে আরো কাজ করার সুযোগ আছে বলে৷

https://p.dw.com/p/2fTyb
ঢাকার ট্যানারিতে কর্মরত শ্রমিক
বাংলাদেশের এক ট্যানারিতে কর্মরত শ্রমিকছবি: DW

গবেষণায় চীনের সবচেয়ে বড় জুতা বিক্রেতা বেলে ইন্টারন্যাশনালের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, কেননা, প্রতিষ্ঠানটি ঠিক কিভাবে চামড়া সংগ্রহ করে তার বিস্তারিত জানায়নি এবং শ্রমিকদের পরিস্থিতির উন্নয়নে কোনো রকমের প্রতিশ্রুতি দেয়নি৷

পাঁচটি জুতা এবং বিলাসি পোশাক ব্র্যান্ডে জরিপ পরিচালনা করেছে নোদ্যচেইন নামের একটি রিসোর্স, যেটি ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারীদের পণ্য সরবরাহকারীরা জোরপূর্বক কাউকে দিয়ে কাজ করাচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখে৷

নোদ্যচেইন জানিয়েছে যে, দশটি কোম্পানি যেসব দেশে চামড়া উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত এবং জুতা তৈরি করে, সেসব দেশে জোরপূর্বক কাজ করানো হচ্ছে কিনা সে সম্পর্কে খুব কম তথ্যই দিয়েছে৷ তবে গবেষণায় জার্মান খেলাধুলার পোশাকের ব্র্যান্ড আডিডাসের প্রশংসা করে বলা হয়েছে যে, প্রতিষ্ঠানটি তাইওয়ান এবং চীনের ট্যানারিগুলোতে জোরপূর্বক কাজ করানোর ঝুঁকি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং ব্রাজিল এবং প্যারাগুয়েতে তাদের জন্য চামড়া উৎপাদনকারীদের কাজের পরিবেশ আরো ভালো করতে কাজ করছে৷

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতের চামড়া শিল্পে শিশুশ্রম এবং জোরপূর্বক কাজ করানোর বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ ইতোমধ্যে নথিভুক্ত করা হয়েছে৷ ফলে সেসব ট্যানারি থেকে যেসব প্রতিষ্ঠান চামড়া নিচ্ছে, তাদের এ ধরনের অগ্রহণযোগ্য চর্চা বন্ধে আরো উদ্যোগী হতে হবে বলে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে৷

প্রতিবেদনটিতে চীনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে৷ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জুতা নির্মাতা দেশটিতে শ্রমিকদের বাড়তি কাজ করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে৷ কেউ বেশি কাজ করতে না চাইলে তাঁর মজুরি কমানো বা পদাবনতি করা হয়৷

এআই/এসিবি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)