1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জি৭-এ ৬০ হাজার কোটির পরিকাঠামো তহবিল গঠন

২৭ জুন ২০২২

চীনকে ঠেকাতে তহবিল গঠনের ঘোষণা জি৭-এ। ৬০ হাজার কোটি ডলারের তহবিল তৈরি করা হবে।

https://p.dw.com/p/4DHjL
জার্মানিতে জি৭ শীর্ষবৈঠক।
জার্মানিতে জি৭ শীর্ষবৈঠক। ছবি: Jonathan Ernst/REUTERS

এই অর্থ দিয়ে কম আয়ের দেশগুলিতে এমন পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে, যা যে কোনো আবহাওয়া সহ্য করে টিকে থাকতে পারবে।

রোববার জার্মানিতে গ্রুপ অফ সেভেন (জি৭) দেশের শীর্ষ নেতারা আলোচনায় বসেন। ৬০ হাজার কোটি ডলারের পরিকাঠামো তহবিলই ছিল সেখানে প্রথম ঘোষণা। চীন ইতিমধ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) নিয়েছে। তারই মোকাবিলায় জি৭ এই প্রকল্প হাতে নিল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, ''এই বিনিয়োগের ফলে সকলে লাভবান হবেন। অ্যামেরিকার মানুষও লাভবান হবেন। সার্বিকভাবে আমাদের অর্থনীতি লাভবান হবে।''

বেজিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা এই বিআরআই চাপিয়ে দিয়ে কম আয়ের দেশগুলিকে ঋণজালে আবদ্ধ করছে। এর ফলে চীনের লাভ হচ্ছে। কারণ, তারা এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপে বাণিজ্য বিস্তার করতে পারছে।

জি৭ বৈঠকে যোগ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
জি৭ বৈঠকে যোগ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ছবি: Lukas Barth/AP/picture alliance

নতুন জি৭ তহবিল থেকে অ্যাঙ্গোলায় ২০০ কোটি ডলার দিয়ে সোলার ফার্ম গড়ে তোলা হবে, ৩২ কোটি ডলার দিয়ে আইভরি কোস্টে হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় চার কোটি ডলার দিয়ে আঞ্চলিক স্তরে বিকল্প শক্তি বাণিজ্যকে উৎসাহ দেয়া হবে।

বাইডেন-শলৎস বৈঠক

আলপাইন অঞ্চলের এলমাউ দুর্গে বৈঠকের প্রথম দিনেই জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস ভাষণ দেন। তিনি বলেছেন, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই পরিকাঠামোগত পরিকল্পনা খুব জরুরি। জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, রাশিয়া এখন শক্তিকে (তেল-গ্যাস-কয়লা)একটা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে। তাদের মোকাবিলায় এই পরিকল্পনা নেয়া দরকার ছিল।

শলৎস ও বাইডেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন। সেখানে প্রতিরক্ষাবাজেট বাড়াবার জন্য বাইডেন শলৎসের প্রশংসা করেছেন।  বাইডেন বলেছেন, জার্মানি হলো অ্যামেরিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু ও শরিক দেশ। বাইডেন জানিয়েছেন, জি৭ ও ন্যাটো দেশগুলি যেন এক হয়ে রাশিয়ার মোকাবিলা করে।

জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের আগে যুক্তরাজ্য ঘোষণা করে, অ্যামেরিকা, জাপান, ক্যানাডা ও যুক্তরাজ্য রাশিয়া থেকে সোনা আমদানি নিষিদ্ধ করছে। এর ফলে রাশিয়ার উপর আরো চাপ তৈরি করা যাবে বলে যুক্তরাজ্য মনে করছে। এর ফলে পুটিন সরাসরি ধাক্কা খাবেন বলে তারা মনে করছে। অ্যামিরাকা জানিয়েছে, মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জি৭ বৈঠকে এই নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হবে।

জিএইচ/এসজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)